স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দরের কতিথ যানজট নিরশন কমিটির নামে অবৈধ ভাবে ট্রাক প্রতি ৫০ টাকা করে চাঁদা উত্তোলন অবশেষে বন্ধ হলো।
ট্রাক শ্রমিকদের দু’টি সংগঠন, ট্রাক ড্রাইভারসহ ট্রাক শ্রমিকেরা রবিবার সকাল থেকে ভোমরা স্থল বন্দরে কর্মবিরতি পালনের মাধ্যমে ভোমরাকে অচল করে দেয়। এরপর বিভিন্ন দপ্তর থেকে তাদের কর্মবিরতির কারন খোঁজ খবর নিতে থাকলে চাঁদাবাজদের উপর চাপ সৃষ্টি হতে থাকে।
পরে তারা স্থানীয় ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলাম ও ভোমরা সিএ্যান্ড এফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের সাধারন সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান নাছিমসহ অন্যান্য কর্মকর্তাদের সাথে আলোচনা করে তাদের মাধ্যমে শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে আলাপ করে জানান তারা আর চাঁদা তুলবেনা।
লোড আনলোড কার্যক্রম পরিচালনার অনুরোধ জানালে ভোমরা সিএ্যান্ড এফ এজেন্টস এ্যাসোসিয়েশনের মধ্যস্থতায় সাতক্ষীরা জেলা ট্রাক ট্রাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি: ১২৭৫) এর সভাপতি আজিজুল হক, সাধারন সম্পাদক শেখ শাহাঙ্গীর হোসেন শাহিন, জেলা ট্রাক ট্রাংকলরী শ্রমিক ইউনিয়ন (রেজি:৭৬৪)’র সভাপতি রকিব, সাধারন সম্পাদক আব্দুল কাদের কাদুর নির্দেশনায় ট্রাক ড্রাইভারসহ কর্মচারিরা কার্যক্রম চালু করে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন ভোমরা ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি রেজাউল ইসলাম, সাধারন সম্পাদক রমজান আলী।
ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আনারুল ইসলাম জানান, এলাকার কিছু যুবক যানজট নিরশনের জন্য কাজ করছিলো। তারা এযাবত প্রায় ৯লক্ষ টাকা খরচ করে ট্রাক রাখার জন্য ভালো পরিবেশ করেছিলো। এজন্য তারা ট্রাক প্রতি ৫০ টাকা করে তুলতো।
রবিবার সকালে ট্রাক মালিক সমিতি ও শ্রমিক ইউনিয়নের নেতৃবৃন্দ হঠাৎ তাদের কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়। তখন আমি উদ্যোগ নিয়ে ব্যাবসায়ী সংগঠনের নেতাদের মাধ্যমে বিষয়টি নিরশন করি। আলোচনায় সিদ্ধান্ত হয়েছে যানজট নিরশন কমিটি টাকা ওঠাবেনা।
এব্যাপারে ভোমরা স্থলবন্দরের সহকারি পরিচালক (ট্রাফিক) মাহমুদুল হাসান জানান, এগুলো বাইরের বিষয়। আমার জানার কথা না। পোটের্র কার্যক্রম বন্ধ হয়নি।
এদিকে দীর্ঘ দিন ধরে ট্রান্সপোর্ট মালিক সমবায় সমিতির সভাপতি কামরুল গাজীর নেতৃত্বাধীন যানজট নিরশন কমিটি অবৈধভাবে ট্রাক প্রতি ৫০ টাকা করে হাতিয়ে নিলেও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোন পদক্ষেপ নেননি।