করোনা মেকাবেলায় সারাদেশে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা কর্তৃক প্রদত্ত অক্সিজেন কনসেনট্রেটর পেল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর উদ্যোগে ত্রাণ ও সমাজ কল্যান উপ-কমিটির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার প্রদত্ত অক্সিজেন কনসেনট্রেটর সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের মাধ্যমে বৃহস্পতিবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবেক সাংসদ এ. কে. ফজলুল হক ও সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম এই উপহার তুলে দেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খুদা নওরোজের হাতে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, দপ্তর সম্পাদক হারুনুর রশীদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস, শিক্ষা ও গবেষনা সম্পাদক লায়লা পারভনি সেঁজুতি, স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ, কার্যকরী সদস্য এ্যাড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু, মাহফুজা রুবি, সাতক্ষীরা জেলা ছাত্র লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সুমন হোসেন, মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. কাজী আরিফ হোসেন, হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. সুমন দাশ, ইউরোলজিস্ট ডা. মো. রাশিদুজ্জামান প্রমুখ।
জেলা আওয়মী লীগের নেতৃবৃন্দ বলেন, হাজার রছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীর বছরে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হািসনা -এঁর সুযোগ্য, দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চিকিৎসা খাতসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশে^র বুকে আজ রোল মডেল।
বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অর্জনের একটা বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছে স্বাস্থ্যখাত। এমনকি মহামারী করোনাকালেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে এদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যে ভূমিকা রেখে চলেছেন তা বিশে^র বুকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। করানাকালে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ১৮০ জনের বেশি নবীন-প্রবীন-অভিজ্ঞ চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন।
একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবী হিসেবে সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছেন চিকিৎসকবৃন্দ। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের সকল প্রগতিশীল আন্দালনেই অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন চিকিৎসকরা।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদা দেন যা চিকিৎসকরা কৃতজ্ঞতাচিত্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। চিকিৎসকদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হািসনা সর্বোচ্চ আন্তরিক।
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার নির্দেশে সংগঠনটির ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সম্পাদক সুজিত রায় নন্দীর এবং ত্রাণ ও সমাজ কল্যান উপ-কমিটির এই উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এবং তাদের প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্ববধায়ক বলেন, সকলেই যাতে নিরাপদে পরিবার পরিজনের সাথে ঘরে থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে কাটাতে পারেন সেজন্যই আমরা চিকিৎসকরা আমদের পরিবার পরিজন ফেলে হাসপাতালে আছি।
রোগীদের সুবিধার কথা ভেবে আপনারা যারা মমত্বরোধ নিয়ে আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আপনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমদের আছে জনবলের ঘাটতি, ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৪/৫ গুণ রোগী ভর্তি থাকে হাসপাতালে, প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ গুণ বেশী রোগীর সেবা দিতে হয় প্রত্যেক চিকিৎসকের।
এরপরও চিকিৎসকরা প্রতিনিয়তই হসিমুখে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন যে যার অবস্থান থেকে সাধ্যানুযায়ী। আপনারা যে যার জায়গা থেকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সহযোগিতার হতে বাড়ান, সহমর্মিতার আর মমত্ববোধ নিয়ে পাশে দাঁড়ান দেখবেন আমরা আপনাদের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে দিতেও কার্পণ্য করবো না।
আমরা চাই প্রতিটি রোগীই সর্বোচ্চ সেবা পাক আর সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরাও নিরাপদ থাক। চিকিৎসক-রোগী সম্পর্ক ভাল থাকলেই ভাল থাকবে বাংলাদেশ। আমরা সকলেই প্রত্যাশা করি সুস্থ-সবল-নীরোগ সাতক্ষীরা আর বাংলাদেশ।
সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগ ভবিষ্যতেও এইরূপ জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যহত রাখবেন বলে জানান নেতৃবৃন্দ।