আন্তর্জাতিক ডেস্ক : প্রতি বছরের মতো এবারও নানা আয়োজনে বিশ্বের অন্যান্য দেশের পাশাপাশি বাংলাদেশে উদযাপিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস।
বাংলাদেশে এ বছরের দিবসটির প্রতিপাদ্য- ‘মুজিববর্ষের আহ্বান, দক্ষ হয়ে বিদেশ যান’।
দিবসটি উপলক্ষে বিশ্বের নানা প্রান্তে থাকা বাংলাদেশি অভিবাসীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে বৃহস্পতিবার পৃথক বার্তা দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
দেশে দিবসটি পালনে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
বাংলাদেশি প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্সের পরিমাণ আগের বছরের তুলনায় ১০ দশমিক ৯ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে এবার ১৮ দশমিক ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
সরকার প্রতি বছর প্রত্যেক উপজেলা থেকে গড়ে এক হাজার কর্মীকে বিদেশে পাঠানোর এক উদ্যোগ নিয়েছে।
বিশ্বের বিপুল সংখ্যক অভিবাসী ও তাদের ক্রমবর্ধমান সংখ্যার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে ২০০০ সালের ৪ ডিসেম্বর জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ ১৮ ডিসেম্বরকে আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবস হিসেবে ঘোষণা দেয়।
টেকসই উন্নয়নের জন্য ২০৩০ এজেন্ডার অভিবাসন সংক্রন্ত প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নে কাজ করছে ইউনেসকো।
জাতিসংঘের অভিবাসন বিষয়ক সংস্থা আইওএম জানিয়েছে যে কোভিড-১৯ মহামারি জীবনযাত্রা, কাজ এবং ভ্রমণ ও চলাচলে প্রভাব ফেলেছে। আর এ জন্য এবারের আন্তর্জাতিক অভিবাসী দিবসের মূল প্রতিপাদ্য ‘রিইমাজেনিং হিউমান মোবিলিটি’।
বর্তমানে প্রায় ৮০ লাখ বাংলাদেশি অভিবাসী বিদেশে অবস্থান করছেন। তাদের জন্য আজ আইওএম আয়োজন করছে এক ভার্চ্যুয়াল কনসার্টের, যার নাম ‘কনসার্ট ফর মাইগ্রেন্টস’। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্ত থেকেই যেন বাংলাদেশি অভিবাসীরা এ আয়োজনে যুক্ত হতে পারেন এবং উপভোগ করতে পারেন সে জন্যই ভার্চ্যুয়াল প্ল্যাটফর্মে এ কনসার্টের আয়োজন করেছে আইওএম।
কনসার্টটি আয়োজন করা হয়েছে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের অর্থায়নে প্রত্যাশা প্রকল্পের আওতায়। পরিকল্পিত ও সুপরিচালিত নীতিমালার মাধ্যমে নিরাপদ, বিধিসম্মত এবং দায়িত্বশীল অভিবাসন নিশ্চিতে টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য ১০.৭ অর্জনে বাংলাদেশ সরকারকে সহায়তা করছে প্রকল্পটি।
যমুনা টেলিভিশনকে সাথে নিয়ে আয়োজিত ‘কনসার্ট ফর মাইগ্রেন্টস’ সম্প্রচারিত হবে শুক্রবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টায় আইওএম বাংলাদেশের ফেসবুক পেইজ এবং যমুনা টেলিভিশনের পর্দায়।
এ বিষয়ে আইওএম বাংলাদেশের মিশন প্রধান গিওরগি গিগাওরি বলেন, ‘২০২০ সালে সবাই কঠিন সময় পাড় করেছি, বিশেষ করে অভিবাসী ও তাদের কমিউনিটিরা। আমরা অভিবাসীদের অবদানকে উদযাপন করতে চাই এবং একই সাথে নিরাপদ, বিধিসম্মত এবং নিয়মিত অভিবাসনের গুরুত্ব সম্পর্কিত আলোচনায় শ্রোতাদের যুক্ত করতে চাই। আমি সবাইকে এ আয়োজন উপভোগ করার আহ্বান জানাই, যেখানে থাকছেন দেশের বিখ্যাত সংগীতশিল্পীরা।’