দীপক শেঠ, কলারোয়া : আজ ৬ ডিসেম্বর কলারোয়া পাকিস্থানি হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলার দামাল ছেলেরা সশস্ত্র সংগ্রামের মাধ্যমে পাকিস্থানী সেনাবাহিনীকে হটিয়ে অবরুদ্ধ কলারোয়াকে হানাদারদের কবল থেকে মুক্ত করে স্বাধীন দেশের পতাকা উত্তোলন করে।

সূত্র মতে, মহান মুক্তিযুদ্ধের কলারোয়ায় ৩৪৩ জন বীর সন্তান অংশ নেন। শহীদ হন ২৭জন মুক্তিযোদ্ধা এর মধ্যে কলারোয়ার বীর সন্তান ৯জন। আর এ পর্যন্ত কলারোয়ার ৮টি গণকবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। দীর্ঘ ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে কলারোয়ায় পাকবাহিনীর সাথে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মুখ যুদ্ধ হয় ছয়টি। প্রতিটি যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা বীরত্বের সাথে যুদ্ধ করে পাকবাহিনীকে পরাস্থ করে। কলারোয়া অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধা পরিচালনার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করে শতাধিক ব্যক্তির সমন্বয়ে প্রবাসী সংগ্রাম পরিষদ গঠিত হয়।

কলারোয়া এলাকা ছিল মুক্তিযুদ্ধের ৮নং সেক্টরের অধীনে। পাকবাহিনীর বিরুদ্ধে যুদ্ধ পরিচালনায় ছিলেন কলারোয়ার শতাধিক মুক্তিযোদ্ধা।সাতক্ষীরার ভোমরা সীমান্তে সংগঠিত রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে ৬শতাধিক পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়।

কলারোয়ায় পাক হানাদারদের সঙ্গে মুক্তিযোদ্ধাদের কয়েকটি বড় ধরনের সম্মুখ যুদ্ধ হয়। এ যুদ্ধেই ২৯ জন পাকিস্থানী সেনা নিহত হয়। শহীদ হয় ১৭জন বীর মুক্তিযোদ্ধা।

এর আগে ১৭ সেপ্টেম্বর কলারোয়ার সীমান্ত এলাকা কাকডাঙ্গা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনের মুখে হানাদাররা কাকডাঙ্গার ঘাটি ছাড়তে বাধ্য হয়। এ ভাবে দীর্ঘ ৯ মাস কলারোয়ার বিভিন্ন স্থানে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের প্রচন্ড আক্রমনে অবশেষে ৬ ডিসেম্বর পাকিস্থানী সেনারা কলারোয়া ছাড়তে বাধ্য হয়।

এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধারা কলারোয়াকে মুক্ত করে, কলারোয়া থানা চত্বরে স্বাধীনদেশের জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এই দিনে কলারোয়ার স্বাধীনচেতা মুক্তমনের মানুষ স্বাধীনতা লাভে স্বাধীন পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে মুক্ত দিবসে আনন্দ, উল্লাস প্রকাশ করে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *