আজ (৭ এপ্রিল) সাতক্ষীরা-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এম এ জব্বারের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। ২০২০ সালের এইদিনে (৭ এপ্রিল ২০২০, মঙ্গলবার) সকাল ১০টার দিকে তিনি রাজধানী ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ইন্তেকাল করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। তার পিতার নাম কাদের বকস্। সাতক্ষীরার কাটিয়া মাস্টারপাড়া এলাকায় তার বাড়ি।
এছাড়া রাজধানী ঢাকার বারিধারা-২ এর বাড়িতেও থাকতেন তিনি। তিনি বাংলাদেশের ঠিকাদারদের জন্য একটি মডেল। রাজধানীতে হোটেল সুন্দরবন ও জব্বার টাওয়ার তারই গড়া আন্তর্জাতিকমানের প্রতিষ্ঠান। তিনি ২০০৮ সালের নির্বাচনে সাতক্ষীরা-২ আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে লাঙল প্রতীক নিয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী হন।
দুর্নীতিমুক্ত সাদা মনের মানুষ হিসেবে তিনি সুনামের সাথে সংসদ সদস্যের দায়িত্ব পালন করেন। সাতক্ষীরা-৩ আসনের মাননীয় সংসদ সদস্য সাবেক সফল স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী আন্তর্জাতিক হাড়জোড়া বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আ ফ ম রুহুল হকের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় সদর আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ্ব এম এ জব্বারের আমলেই তারই গড়া কমিউনিটি সেন্টারে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের যাত্রা শুরু হয়।
তিনি সাতক্ষীরা সদরের রাস্তাঘাট, ব্রিজ, কালভার্ট, স্কুল, কলেজসহ অসংখ্য প্রতিষ্ঠানের ভৌত অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করেছেন। সাতক্ষীরার জলাবদ্ধতা নিরসনে তিনি শ্যালোমেশিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে হাজার হাজার কৃষকের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন। তিনি সাতক্ষীরায় বেসরকারি এমএ জব্বার মেডিকেল কলেজ গড়ে তোলার জন্য স্বপ্ন দেখেছিলেন।
এছাড়া সাতক্ষীরায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার জন্য তার প্রচেষ্টা অব্যাহত ছিল। বন্ধ হওয়া সুন্দরবন টেক্সটাইল মিলস্ কে চালু করেছিলেন। পরে তা আবার বন্ধ হয়ে যায়। সাতক্ষীরাকে একটি অর্থনৈতিক জোন হিসেবে প্রতিষ্ঠা করাই ছিল তার লক্ষ্য। মরহুম এম জব্বারের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি।