সাতক্ষীরা টাইমস ডেস্ক : ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা হানাদার মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে সাতক্ষীরার দামাল ছেলেরা থ্রি নট থ্রি রাইফেল আর এসএলআরের ফাঁকা গুলি ছুড়তে ছুড়তে সাতক্ষীরা শহরে প্রবেশ করে।
ওড়ানো হয় স্বাধীন বাংলার পতাকা। শত্রæর বুলেটের আঘাত সহ্য করে সাতক্ষীরার সন্তানরা এই অঞ্চলে অন্তত ৫০টি যুদ্ধের মোকাবেলা করেছিলেন ৯ মাসের স্বাধীনতা যুদ্ধে। বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ৯নং সেক্টরের মুক্তিযুদ্ধের ভূমিকা ও গুরুত্ব অপরিসীম। দেশের দক্ষিণ-পশ্চিম সুন্দরবন সীমান্ত অঞ্চলের বীর মুক্তিযোদ্ধাগণের দক্ষতাপূর্ণ গেরিলা এবং সম্মুখযুদ্ধের ফলে সুন্দরবনসহ উপক‚লীয় শ্যামনগর, কালিগঞ্জ, দেবহাটা, ভোমরা অঞ্চল ১৯৭১’র ২৩ নভেম্বরের মধ্যে পাক হানাদার মুক্ত হয়।
৭ ডিসেম্বরের মধ্যে সাতক্ষীরা শহরসহ বৃহৎ অঞ্চল প্রথম পাক হানাদার মুক্ত হয়। ১৯৭১’র নভেম্বর মাসের ১৯ তারিখ থেকে ২৩ তারিখের মধ্যে সুন্দরবন উপক‚লীয় শ্যামনগর থেকে ভোমরা বর্ডারসহ বাঁকাল পর্যন্ত পাকহানাদার মুক্ত করে নবম সেক্টরের যোদ্ধাগণ।
সাতক্ষীরা শহর মুক্ত করতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা প্রবল পরাক্রমে চারদিক থেকে সাতক্ষীরা শহরে গেরিলা হামলা চালায় এবং রাস্তায় ট্যাংক বিধ্বংসী মাইন পেতে পাকসেনাদের খতম ও বিভ্রান্ত করে তোলে। ফলে ভারতীয় মিত্র সেনাবাহিনী বাংলাদেশে ঢোকার পূর্বেই মুক্তিযোদ্ধাগণের পরাক্রমের মুখে সাতক্ষীরা শহর পাকহানাদার মুক্ত হয়।