অনলাইন ডেস্ক : আফিফ হোসেন ও মেহেদী মিরাজের সপ্তম উইকেটে বিশ্ব রেকর্ড জুটি (১৭৪*) কল্পনাকে হার মানিয়ে সাফল্যে রাঙিয়েছে বাংলাদেশ। দু’জন জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে ২২ গজে লড়েছেন বুক চিতিয়ে। দেখিয়েছেন সাহসিকতা। ৪৫ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলার পরও এনে দিয়েছেন ৪ উইকেটের জয়।

আফগান পেসার ফারুকির তেজের সামনে যেখানে দলের অভিজ্ঞ তারকা ক্রিকেটারদের অসহায় আত্মসমর্পন সেখানে দুরন্ত ছুটে চলা তরুণ দুজনের। মুজিব-রশিদ-নবিও যেখানে আফিফ-মিরাজের উইকেটে টিকে থাকার দৃঢ় চেতনার কাছে পরাজিত।

কঠিন বাস্তবতায় ব্যাট করতে থাকা দু’জনের ২২ গজের রসায়নটা কেমন ছিল, কী কথাবার্তা চলছিল নিজেদের মধ্যে। সেটি জানা গেছে ম্যাচ শেষে। এ ব্যাপারে সংবাদ সম্মেলনে আফিফ বলেন, ‘ছয়টা উইকেট পড়ার পর আমাদের শুধু একটা লক্ষ্য ছিল, উইকেট দিবো না।

এই লক্ষ্যটা নিয়েই ব্যাটিং করছিলাম যে, উইকেট না দিয়ে যতক্ষণ কাটানো যায়, প্রথম থেকে আমাদের লক্ষ্য একটাই ছিল যে উইকেট দিবো না, রান আসলে ভালো না আসলে কিছু করার নেই। পরিকল্পনা ছিল কেবল স্বাভাবিক খেলাটা খেলবো।

‘মিরাজ ভাই অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। ওপাশ থেকে যখন বাউন্ডারি দরকার ছিল তখন বাউন্ডারি মেরেছে। এ ছাড়া সব মিলিয়ে দুজনের কথা অনেক ভালো হচ্ছিল। দুজনেই বুঝতে পারছিলাম পরিস্থিতি, উইকেট না দিলে সম্ভব ম্যাচটা জেতা। পুরো খেলাটায় আমরা ম্যাচ জেতানোর ব্যাপারে কথা বলিনি। আমাদের শুধু কথা ওটাই ছিল যে আমরা উইকেট দিব না, শেষ পর্যন্ত চেষ্টা করবো’-বলেন আফিফ।

কিপটে বোলিং (১০ ওভারে ২৮ রান) ও ৮১ রানের ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন মিরাজ। পুরস্কার বিতরণী মঞ্চে এ অলরাউন্ডার জানান আফিফের ব্যাটিং দেখেই আত্মবিশ্বাস বেড়েছে তার।

‘অসাধারণ ইনিংস খেলেছে আফিফ। সত্যি কথা বলতে ওর ব্যাটিং দেখে আমার আত্মবিশ্বাস বেড়েছে। আমি প্রথম দিকে একটু নার্ভাস ছিলাম। তবে ও আমায় একটা কথা বলেছে যে মিরাজ ভাই, আমরা ক্রিকেট বল টু বল খেলি, যা হবে পরে দেখা যাবে।’

শেষ পর্যন্ত জয়ের বন্দরে ৭ বল আগেই নোঙর করে বাংলাদেশ। আফগানদের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেটি হয়ে থাকলে অবিস্মরণীয় জয়ের একটি। যা থেকে ভবিষ্যতেও অনুপ্রেরণা পেতে পারি বাংলাদেশ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *