শেখ আরিফুল ইসলাম আশা : আবারও তীব্র যানজটের কবলে সাতক্ষীরা ভোমরা স্থলবন্দর। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে বন্দরের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী ।
সরজমিনে যেয়ে দেখা গেছে ভোমরা স্থল বন্দর এলাকায় প্রায় ১ কিলোমিটার জুড়ে দীর্ঘ পণ্যবাহী ট্রাকের যানজট । যানজটে ভোগান্তির শিকার এলাকাবাসী ও বন্দর ব্যবসায়ীরা ভোমরা স্থলবন্দর যানজট নিরসন কমিটির কার্যক্রমবন্ধকারী কুচক্রী মহলের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে।
এব্যাপারে ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার নিলয় শর্মা, ট্রাক ড্রাইভার আব্দুল কাদের ও বাংলাদেশী ট্রাক ড্রাইভার শেখ শহিদুল ইসলাম, ট্রাক ড্রাইভার আব্দুল হাকিম, মো. হারুন, ইউছুফ আলী, হামিদুল ও ট্রাক ড্রাইভার আব্দুল আজিজ তারা বলেন, আমরা কিছুদিন আগেও খুব শান্তিতে ছিলাম। কোন যানজট ছিলনা। এখন দীর্ঘ যানজটে কষ্টের মধ্যে আছি। এই যানজট কাটিয়ে এক ঘন্টা সময় লাগবে লোডিং পয়েন্ট পর্যন্ত যেতে।
তারা আরো বলেন, নির্দিষ্ট সময়ে লোড আনলোড করতে পারছিনা। যেকারণে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আগে ট্রাকের কোন ক্ষয়-ক্ষতি হতোনা। যানজট নিরসন কমিটির নতুন পার্কিং স্পটে ট্রাক রাখতাম। সময় মতো বের হয়ে মালামাল লোড-আনলোড করতাম। আমরা এ ভোগান্তী ও হয়রানী থেকে মুক্তি চাই।
ভোমরা স্থলবন্দরের শ্রমিক নেতা ও ভোমরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আনারুল ইসলাম গাজী ও বাংলাদেশ স্থলবন্দর শ্রমিক ফেডারেশন ভোমরা স্থলবন্দর শাখার সাধারণ সম্পাদক আজিবুর রহমান আলিমসহ স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দরা বলেন, যানজটের কারণে এবং যানজটকে কাজে লাগিয়ে একটি সুবিধাবাদী মহল তাদের অবৈধ কর্মকান্ড অনেক সহজেই করতে পারছে। কিছুদিন আগেও এ যানজট ছিলনা।
ভোমরা বন্দর কর্তৃপক্ষ, ব্যবসায়ী ও স্থানীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি এক সাথে বন্দরের প্রধান সমস্যা যানজট নিরসনকল্পে দীর্ঘ আলোচনার মাধ্যমে ভোমরা স্থলবন্দর যানজট নিরসন কমিটি গঠন করে। সেই কমিটি পবিত্র রমজান মাস থেকে ৪০জন সদস্যকে নিয়ে বন্দর কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে পার্কিং ব্যবস্থা করে নিরলসভাবে পরিশ্রম করে ভোমরা স্থলবন্দরকে যানজট মুক্ত করেছিল।
একটি মহল বিরোধিতা করে তাদেরই হস্তক্ষেপে পেশিশক্তি কাজে লাগিয়ে ভোমরা স্থলবন্দর যানজট নিরসন কমিটির কার্যক্রম সম্পুন্নরুপে বন্ধ করে দেয়। যার ফলে আবারও ভোমরা স্থলবন্দরে দীর্ঘ যানজট দেখা দিয়েছে।
ভোমরা বন্দরের একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, ভারতীয় ট্রাক ড্রাইভার ও হেলপাররা আগে যানজট নিরসন কমিটির তত্বাবধানে ও নিয়ন্ত্রনে থাকতো। যানজট নিরসন কমিটির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় এখন তারা ভোমরা থেকে সাতক্ষীরা শহরে গিয়ে ঘুরে বেড়ায়। তাদের কারণে ভারতীয় ডেল্টা ভেরিয়েন্ট করোনা ভাইরাস সাতক্ষীরায় দ্রুত বেশি বেশি ছড়িয়ে পড়ছে বলে অনেকে আশংকা করছে।
পথচারী আবু ছালেক, কবির হোসেন, আনোয়ার, জামিনুর ও স্থানীয় দোকানদার মিজান, সাইফুল, মাইনুর এ প্রতিনিধিকে জানায়, যানজট নিরসন কমিটির কার্যক্রম বন্ধ হওয়ায় খুব যানজট দেখা দিয়েছে। এই কিছুদিন আগেও ভোমরা স্থলবন্দর এলাকায় কোন যানজট ছিলনা।
এসময় পথচারী, ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী ভোমরা স্থলবন্দর যানজট মুক্ত করতে প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছে।