সৈয়দ মাসুদ রানা, পাটকেলঘাটা (সাতক্ষীরা) প্রতিনিধি: কিছুদিন বন্ধ থাকার পরে আবারো পাটকেলঘাটায় বেদে সম্প্রদায়ের নিরব চাঁদাবাজীতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে বিভিন্ন পেশা শ্রেনীর মানুষ। এদের হাত থেকে রেহায় পাচ্ছে না দোকানী, পথচারী থেকে সাধারন মানুষ।

গত কয়েক মাস এ ধরনের বেদেদের চাঁদাবাজী বন্ধ থাকলেও আবারো শুরু হয়েছে। পাটকেলঘাটা বাজারের বিভিন্ন পয়েন্টে সকাল থেকে রাত পর্যন্ত ভয়ংকর সাপ নিয়ে বিভিন্ন কায়দায় ভয়ভীতি দেখিয়ে দোকানী, পথচারী, সাধারন মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন কায়দায় নিবর চাঁদাবাজী করে চলেছে৭/৮ জনের সংঘবদ্ধ চক্র।

এদের চাঁদাবাজীর শিকার অনেকে জানান, বেদে সম্প্রদায়ের মহিলারা একটা করে কাঠের তৈরী আবার কারো হাতে স্টীলের বক্সের ভিতরে লুকিয়ে রেখেছে বিভিন্ন ধরনের ভয়ংকর বিষাক্ত সাপ। পাটকেলঘাটার বিভিন্ন পয়েন্টে যাতায়ত রত পথচারীদের গতিরোধ করে অভিনব ভাবে টাকা দাবী করে।

কোন সময় বলে খাবার খেতে দে, আবার বলে আমার বাচ্চাটা কিছু খায়নি, কোন সময় বলে যদি তোর ভাল চাসতো আমাকে কিছু দিয়ে যা, এছাড়া সাপকে টাকা দিলে তোর মঙ্গল হবে এমন অনেক ধরনের বুলি আওড়ানো কথা বলে টাকা নিতে দেখা যায়। এমনও হচ্ছে পথ আটকে দাবী করা হচ্ছে টাকা। চাহিদা মতো টাকা না দেওয়া হলে ছেলেদের সার্ট আর মেয়েদের ওড়না বা শাড়ি টেনে ধরা হচ্ছে।

ছোট কাঠের বাক্সে সাপ নিয়ে চাঁদাবাজি নতুন নয়, কিন্তু বর্তমানে তা চরম পর্যায়ে পৌছেছে। পথচারী ও এলাকাবাসী সাপের ভয়ে ও ইজ্জত বাঁচাতে চাঁদা দিতে বাধ্য হচ্ছে। যদি কেহ টাকা দিতে অস্বীকার করে তাহলে কাঠের বাক্সে রাখা ভয়ংকার বিষাক্ত সাপ বের করে ভয় দেখাবে এমনকি গায়ের উপর দিতে যাবে এতে প্রান বাঁচানোর জন্য পকেটে যা থাকবে বের করে দিতে বাধ্য হবে। লোক বুঝে ১০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত চাঁদা আদায় করছে।

এমনি ইচ্ছার বিরুদ্ধে গিয়ে শত শত টাকা নেয়ার অভিযোগ রয়েছে। আরো অভিযোগ রয়েছে বেদেদের সাপের ভয়ে চাঁদাবাজীর শিকার হওয়া অনেকের জ্বর সহ বিভিন্ন ভাবে অসুস্থ্য হয়ে পড়ার খবর রয়েছে। পাটকেলঘাটায় যে বেদে চক্রটি এধরনের প্রতারনার মধ্যেমে অবৈধ পন্থায় টাকা রোজগার করছে এরা একেবারে অবৈধভাবেই কুমিরার কপোতাক্ষ পাড়ে দীর্ঘদিন ধরে স্থায়ী ভাবে আসন গেড়ে বসে বসবাস করছে।

তারা টাকা রোজগারের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রতারনার আশ্রয় নিয়ে চলেছে। কখনো পাড়া বা গ্রামের সহজ সরল মহিলাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা বলে টাকা নিচ্ছে। প্রতিটা গ্রামে এমন ভুক্তভোগীর সংখা কম না। এধরনের চাঁদাবাজীর হাত থেকে রক্ষা পেতে এলাকার ব্যবসায়ী, পথচারী, সাধারন মানুষ প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছে যাতে দ্রুত এধরেন বেদেরের চাঁদাবাজী বন্ধের ব্যবস্থা করেন।

এ বিষয়ে পাটকেলঘাটা থানা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে এমন অভিযোগ আমরা পাইনি, তার পরেও বিষয়টা দেখছি। কোন অনাকাংখিত ঘটনা আমাদের কাম্য নয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *