বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী ও সবচেয়ে প্রাচীন রাজনৈতিক দল, যে রাজনৈতিক দল এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু -এঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে সেই বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম বর্ষে পদার্পনে, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ এবং স্বাধীন বাংলাদেশের ৫০ বছর পূর্তিতে সাতক্ষীরার সম্মুখ সারির করোনা যোদ্ধা ৭৩ জন চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীকে শ্রদ্ধা জানাবেন জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সাবেক সাংসদ বীর মুক্তিযোদ্ধা এ. কে. ফজলুল হক এবং সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলামের পরামর্শক্রমে জেলাব্যাপী এই কার্যক্রমের শুভ সূচনা ঘটেছে বেশ কিছুদিন আগেই।

করোনাকালে সাতক্ষীরা বাসীকে নিরলস ও নিরবিচ্ছিন্ন সেবা প্রদান করা করোনা ডেডিকেটেড সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খুদা নওরোজের হাতে এ সম্মাননা তুলে দেওয়ার মাধ্যমে এই কর্মসূচির শুরু করা হয় যা বছরব্যাপী সারা সাতক্ষীরা জুড়েই চলবে।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. নজরুল ইসলাম, সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যক্ষ আবু আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আক্তার হোসেন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক শিমুন শামস, শিক্ষা ও মানবসম্পদ বিষয়ক সম্পাদক লায়লা পারভীন সেঁজুতি, কার্যনিবাহী কমিটির সদস্য এ্যাড. সৈয়দ জিয়াউর রহমান বাচ্চু ও নাজমুন আসিফ মুন্নীর উপস্থিতিতে জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ উপহার হিসেবে করোনা সুরক্ষা সামগ্রী চিকিৎসকের হাতে তুলে দেন।

জেলা আওয়মী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদক ডা. সুব্রত ঘোষ বলেন, হাজার রছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ন জয়ন্তীর বছরে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -এঁর গতিশীল, দক্ষ ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে চিকিৎসা খাতসহ প্রায় সকল ক্ষেত্রে বাংলাদেশ বিশ্বের বুকে আজ রোল মডেল।

বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অর্জনের একটা বিশেষ জায়গা জুড়ে রয়েছে স্বাস্থ্যখাত। এমনকি মহামারী করোনাকালেও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা -এঁর নেতৃত্বে এদেশের চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীরা যে ভূমিকা রেখে চলেছেন তা বিশ্বের বুকে উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। করানাকালে নিরবিচ্ছিন্ন সেবা দিতে গিয়ে এখন পর্যন্ত ২০০ জনের বেশি নবীন-প্রবীন-অভিজ্ঞ চিকিৎসক মৃত্যুবরণ করেছেন।

একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে পেশাজীবী হিসেবে সবচেয়ে বেশি শহীদ হয়েছেন চিকিৎসকবৃন্দ। বায়ান্ন’র ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধসহ বাংলাদেশের সকল প্রগতিশীল আন্দালনেই অগ্রনী ভূমিকা রেখেছেন চিকিৎসকরা। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে চিকিৎসকদের প্রথম শ্রেণীর পদমর্যাদা দেন যা চিকিৎসকরা কৃতজ্ঞতাচিত্তে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে। চিকিৎসকদের প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হািসনা সর্বোচ্চ আন্তরিক।

সাতক্ষীরা জেলা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যা বিষয়ক সম্পাদকের এই ব্যাতিক্রমী উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে এবং তার প্রতি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে চিকিৎসকগণ বলেন, পরিবার পরিজনের নিরাপত্তার কথা চিন্তা না করে হাসপাতালে আছি -নিরলসভাবে সাধ্যমত সেবা দিয়ে যাচ্ছি।

আমদের কথা ভেবে আপনারা যারা মমত্ববোধ নিয়ে পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন, আপনাদের প্রতি আমরা কৃতজ্ঞ। আমদের আছে জনবলের ঘাটতি, ধারণ ক্ষমতার প্রায় ৪/৫ গুণ রোগী ভর্তি থাকে হাসপাতালে, প্রতিদিন প্রায় ৭/৮ গুণ বেশী রোগীর সেবা দিতে হয় প্রত্যেক চিকিৎসকের। এরপরও চিকিৎসকরা প্রতিনিয়তই হসিমুখে সর্বোচ্চ চিকিৎসা সেবা প্রদান করে যাচ্ছেন যে যার অবস্থান থেকে সাধ্যানুযায়ী।

আপনারা যে যার জায়গা থেকে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়ান, সহমর্মিতার আর মমত্ববোধ নিয়ে পাশে দাঁড়ান দেখবেন আমরা আপনাদের সেবায় জীবন উৎসর্গ করে দিতেও কার্পণ্য করবো না। আমরা চাই প্রতিটি রোগীই সর্বোচ্চ সেবা পাক আর সর্বস্তরের স্বাস্থ্যকর্মীরাও নিরাপদ থাক। চিকিৎসক-রোগী সম্পর্ক ভাল থাকলেই ভাল থাকবে বাংলাদেশ। আমরা সকলেই প্রত্যাশা করি সুস্থ-সবল-নীরোগ সাতক্ষীরা আর বাংলাদেশ।

ডা. সুব্রত ঘোষ বলেন, করোনাকালে আমার পিতা সাতক্ষীরার প্রবীন চিকিৎসক সিনিয়র সিটিজেন ওয়েল ফেয়ার এসোসিয়েশন সাতক্ষীরা জেলার সভাপতি মেডিসিন বিশেষজ্ঞ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. সুশান্ত ঘোষ, স্ত্রী সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ইউনিটে কর্মরত ডা. ইলিকা ঘোষ মিলে আমাদের পরিবারের ৩ জন চিকিৎসক প্রতিনিয়তই সরাররি, টেলিফোনে ও সোস্যাল মিডিয়ায় চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছি সেই করোনা মহামারীর প্রথম থেকেই।

আমার মা মুক্তিযোদ্ধা পিতা-মাতার কন্যা মিসেস সুলেখা ঘোষও তার উদ্যোগে করোনাকালে কর্মহীন মানুষদের বিভিন্নভাবে সেবা করছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের একজন ক্ষুদ্র কর্মী হিসেবে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আদর্শে তাঁর সুযোগ্য কন্যা জননত্রেী শেখ হাসিনা -এঁর নেতৃত্বে মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান হিসেবে রাজনৈতিক ও সামাজিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ব্যক্তিগতভাবে ভবিষ্যতেও এইরূপ জনকল্যাণমূলক কাজ অব্যহত রাখবেন বলে জানান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *