স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলের বিরুদ্ধে চলছে গভীর সড়যন্ত্র।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে আওয়ামী লীগের রাজপথের পরিক্ষিত নেতা একাধিকবার মামলা-হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েছেন আওয়ামী লীগ নেতা বৈকারী ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলে। তাকে হয়রানি ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে একটি সড়যন্ত্রকারী চক্র বিভিন্ন ভাবে চক্রান্ত চালাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানাগেছে, সম্প্রতি ঢাকা হাতিরঝিল মগবাজার নয়াটোলা গ্রাম ৫২৭/৬ এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয়ের খপ্পড়ে পড়ে শাহজাহানপুর থানার ইন্দ্রপুরী গোলবাগ গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে শান্তা আফরিন সহ কয়েকজন তরুণী সাতক্ষীরা সীমান্ত দিয়ে ভারতে পাচারের শিকার হয়।
পাচারের শিকার শান্তা আফরিন কৌশলে আবার দেশে ফিরে আসে। এবং ২০১২ সালের মানব পাচার প্রতিরোধ ও দমন আইনের ৭/৮/১০/১১ সংঘবদ্ধ ভাবে পতিতাবৃত্তির উদ্দেশ্যে বিদেশে পাচার করার অপরাধ আইনে হাতিরঝিল থানায় শান্তা আফরিন বাদী হয়ে গত ১ জুন ২০২১ ইং তারিখে মামলা করে(এফ আই আর নং-০৩)।
ওই মানব পাচার মামলায় ঢাকা হাতিরঝিল মগবাজার নয়াটোলা গ্রাম ৫২৭/৬ এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে রিফাদুল ইসলাম হৃদয় ওরফে টিকটক হৃদয় কে প্রধান আসামী করে ১৩ জনের বিরুদ্ধে ও আরো কয়েক জনের বিরুদ্ধে মামলা করে। ওই মামলায় আব্দুল কাদের, মেহেদী হাসান ও মহিউদ্দীন নামের তিন আসামী কে পুলিশ গ্রেফতার করেন।
এ ঘটনায় গত ২২জুন ইং খ্রি: রাজধানী ঢাকা থেকে পরিচালিত কয়েকটি গণমাধ্যমে একটি চক্র মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলে কে হয়রানি করতে ও হেয় প্রতিপন্ন করার উদ্দেশ্যে তাকে জড়িয়ে সংবাদ প্রকাশিত হয়।
এদিকে, ঢাকা হাতিরঝিল থানা ডিএমপি ঢাকায় দায়েরকৃত চার পাতার অভিযোগপত্রে কোথাও আওয়ামী লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলের নাম না থাকলেও তার বিরুদ্ধে চক্রান্ত হওয়ায় চক্রান্তকারীদের বিরুদ্ধে ফুসে উঠেছে এলাকাবাসী। জানিয়েছেন ক্ষোভ ও নিন্দা।
এব্যাপারে সাতক্ষীরা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুর রশিদ জানান, ২০০১ ইং সালে চার দলীয় জোট রাষ্ট্র ক্ষমতায় আসার পরে আসাদুজ্জামান অছলের পরিবারটি বিভিন্ন হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার হন। সাবেক জামাত দলীয় এমপি যুদ্ধাপরাধী খালেক মন্ডলের মামলার স্বাক্ষীদের সমন্বয়কারী হিসেবে এই মামলার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন।
এসব কারনে যুদ্ধাপরাধি খালেক মন্ডল ওরফে জল্লাদ খালেকের ঘনিষ্ঠজন ও জামাত-বিএনপির লোকজন আসাদুজ্জামান অছলে কে বেকায়দায় ফেলতে তার বিরুদ্ধে নানা ভাবে চক্রান্ত চালাচ্ছে।
সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক আমিনুর রহমান জানান, সড়যন্ত্র করে আছলে চেয়ারম্যান কে এলাকা ছাড়া করতে পারলে বৈকারী-কাথন্ডা এলাকায় জামাত-শিবিরের লোকজন আবারো মাথা চাড়া দিয়ে উঠবে।
সদর উপজেলা আ’লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক সরদার মহাশিন কবির পিন্টু বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা অছলে দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ। ভালো সমাজকর্মী। এক সময় বৈকারী ইউনিয়ন ছিলো জামাত-শিবিরের দূর্গ। অছলে চেয়ারম্যান সেই দূর্গ ভেঙে এখন অত্র এলাকা আওয়ামী লীগের ঘাটি তৈরি করেছেন। তার মধ্যে সবসময় সাংগঠনিক ততপরতা বেশি কাজ করে।
সদর উপজেলা আ’লীগের শিক্ষা বিষয়ক সম্পাদক প্রভাষক আফাজউদ্দীন বলেন, বৈকারী এলাকায় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক প্রক্রিয়া ধ্বংস করার লক্ষে ইউপি চেয়ারম্যান অছলের বিরুদ্ধে গভীর সড়যন্ত্র চালাচ্ছে।
বৈকারী ইউপি সদস্য জাহাঙ্গীর কবির বলেন, ২০০২ সাল থেকে অছলে ও আমি ইউনিয়ন পরিষদে মেম্বর হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত নারী পাচারের মতো জঘন্ন কাজ আসাদুজ্জামান অছলের মধ্যে দেখিনি।
বৈকারী বাজার জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মুক্তার আলী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতা অছলে কে কোন প্রকারের চোরাচালানের সাথে জড়িত থাকতে শোনা যায়নি। এখন দেখছি সব সড়যন্ত্র চলছে কার বিরুদ্ধে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে আমরা সড়যন্ত্রকারীদের আইনের আওতায় এনে বিচারের দাবি জানাই।