Exif_JPEG_420

আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনির আনুলিয়া ইউনিয়নের কাকবাসিয়া গ্রামে জমিজমা নিয়ে প্রতিপক্ষের মারপিটে আহত গৃহবধু জোসনার গর্ভের ৭ মাসের নব জাতকের মৃত্যু হয়েছে। এমন লোমহর্শক ঘটনায় স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ বাতাশ ভারি হয়ে উঠেছে।

গত ১৩ জুন রাত্র আনুমানিক ২টার দিকে সাতক্ষীরায় সদর হাসপাতালে অন্তসত্তা জোসনার প্রচন্ড রক্ত ক্ষরণ শুরু হওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যে মৃত পুত্র সন্তান প্রসব করেন।

তবে এটনায় কর্তব্যরত ডাক্তারের সাথে কথা হলে তিনি বলেন আঘাত জনিত কারনে গৃহবধুর পেটের সন্তানটি সময় হওয়ার আগেই ঝরে গেল । তিনি আরো বলেন গৃহবধুর অবস্থা এখনও শংখ্যা মুক্ত নয় বলে তিনি জানান ।

এদিকে গৃহবধুর স্বামী বিল্লাল হোসেনের সাথে সার্র্বিক বিষয় কথা হলে তিনি এ প্রতিবেদক কে জানান গত ১২ জুন এটি এম বাহিনী তার ক্যাডারদের নিয়ে কোন কারণ ছাড়াই গায়ে পড়ে মাপ জরিপের কাজ ব্যাহত করতে থাকে ।

তাদের এমন আচারনে আমি সহ আমার ভাইয়েরা প্রতিবাদ করলে মুহুর্তের মধ্যে তার পেটুয়া বাহিনীকে লেলিয়ে দেয় । দেওয়ার এক পর্যায়ে হামলা ও ভাংচুর লুটপাট শুরু করে। আমি সহ আমার ভাইয়েরা তাদের কাজে বাঁধা দিলে মারপিট করতে থাকে ।

এমন তান্ডব দেখে আমার স্ত্রী সাত মাসের অন্তসত্তা জোসনা খাতুন প্রথমে ঠেকাতে এলে এটি এম এর নির্দ্দেশে শহীদ,হালিম সহ তাদের পেটুয়া বাহিনী আমার স্ত্রীর তলপেটে সহ অনন্য জায়গায় আঘাত করে রক্তাত্ত জখম করে ।

আমাদের ডাক চিৎকারে ছোট ভাইয়ের স্ত্রী সাবিনা ঠেকাতে গেলে বাহিনীর সকলে তাকে মাটিতে ফেলে বিবস্ত্র করে টানা হেচড়া করতে থাকে । পার্শবত্তি লোক জন এগিয়ে এলে তারা দ্রুত ঘটনা স্থলত্যাগ করে চলে যায় ।

যাওয়ার সময় এটি এম এর লোকজন বলতে থাকে আমাদের নামে মামলা করলে রাতের আধারে ভারতে চলে যেতে হবে । তাদের এমন হুংকারে পরিবারটি নিঘুম রাত কাটাচ্ছে বলে তিনি জানান ।

এরিপোট লেখা পর্যন্ত আশাশুনি থানার ওসি গোলাম কবিরের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি । তবে কর্তব্য রত ডিউটি অফিসার এস আই মিঠুন মন্ডল মৃত শিশুটি দেখার পর দাফন করার অনুমতি দিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *