দূনীতিবাজ এজিএম’র বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ারদাবী
এমএম সাহেব আলী, আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনিতে পল্লীবিদ্যুতের ব্যাপক লোড শেডিং হওয়ায় জনদূর্ভোগ চরমে উঠেছে। ক্ষিপ্ত জনতা যে কোন সময় পল্লীবিদ্যুতের আশাশুনি অফিসের উদ্ধর্তন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মিছিল, মিটিংসহ বিভিন্ন কর্মসূচির ডাক দিতে পারে বলে জানাগেছে।
এমন আভাস দিয়েছেন আশাশুনি উপজেলাবাসী ও উপজেলা ভূমিহীন সমিতির নেতৃবৃন্দ। মঙ্গলবার সাড়ে তিনটার দিকে পল্লীবিদ্যুতের লোডশেডিং শুরু হয়ে প্রায় রাত ৯টার দিকে বিদ্যুৎ আসে।
এ ছাড়া সকাল থেকে পল্লীবিদ্যুতের কয়েকবার লোডশেডিং হতে দেখা গেছে। ফলে কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়ে। শুধু আজকে নয় প্রতিনিয়ত এ ধরনের ঘটনা ঘটে চলেছে। বেশীর ভাগ সময় আযানের আগে ও পরে যখন মুসুল্লিরা জামাতে নামাজ আদায়ের জন্য দাঁড়ায় সেই সময় পল্লীবিদ্যুতের লোডশেডিং হয়।
বিশেষ একটি সুত্র থেকে জানা গেছে পল্লীবিদ্যুতের এজিএম হিসাবে যিনি দায়িত্বে আছেন তিনি আশাশুনিতে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এমন ঘটনা প্রতিনিয়ত ঘটছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন বিদ্যুতের আলো বিহিন একটি পরিবার ও থাকবেনা। অথচ বিদ্যুতের আলো বিহিন অন্ধকারে দিনে বেশীর ভাগ সময় কাটছে মানুষের, ফলে সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে।
এ ব্যাপারে আশাশুনি সদর ইউপি চেয়ারম্যান ও উপজেলা আ’লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক স.ম সেলিম রেজা মিলন জানান, সরকারী তথ্য অনুযায়ী দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি নেই সেখানে কেন ঘন ঘন বিদ্যুতের লোডশেডিং হচ্ছে এর কারন খতিয়ে দেখার জন্য সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের আশুহস্তক্ষেপ কামনা করেছি।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক সহ বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ আশাশুনি পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সাথে যোগাযোগ করলে তারা এক এক সময় এক এক কারন দেখিয়েছেন বিদ্যুতের ব্যাপারে। কখনো বলছেন ট্রান্সমিটার বাষ্ট হয়েছে, কখনো আবার ঝড় ঝাটি না অথচ বললেন বিদ্যুতের খুটি পড়েছে আবার বললেন গ্রীডে সমস্যা হয়েছে কাজ চলছে। যে কোন সময় সমস্যার সমাধান হবে এ কথা বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পর থেকেই বলে আসছেন।
অথচ সাড়ে ৩টার দিকে বিদ্যুৎ চলেগেল চালু হলো ৭ঘন্টা পর। এ ভাবে প্রতিদিন বিদ্যুৎ যেই চলে যায় সেই নানান রকম অজুহাত দেখিয়ে মানুষকে মন বুঝায়। মানুষকে এভাবে বোকা বানানো যাবে না। তাদের এ ধরনের নাটক সকলের কাছে পরিষ্কার হয়েগেছে। ফলে উপজেলাবাসীর দাবী দূনীতিবাজ এজিএম বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার।