এমএম সাহেব আলী : পুলিশ সেজে প্রকাশ্য দিবালোকে চিংড়ী মাছ বহনকারীকে আটকে টাকা ছিনতাই করা হয়েছে। শুক্রবার (১৮ জুন) দুপুর পৌণে ৩ টার দিকে আশাশুনি সাতক্ষীরা সড়কে এ ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে। ইউএনও পরিচয়ে ব্যবসায়ীদের থেকে টাকা আদায়ের পর পুলিশ পরিচয়ে ছিনতাইয়ের ঘটনায় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
শ্রীউলা ইউনিয়নের মহিষকুড় গ্রামের আকবর মোড়লের ছেলে রিপন হোসেন ঘটনার সময় তার ইঞ্জিনভ্যানে মহিষকুড় থেকে বাগদা চিংড়ী নিয়ে মহেশ্বরকাটি মৎস্য সেটে আসতেছিল। আশাশুনি ব্রিজ পার হওয়ার পর ছিনতাই চক্রের সদস্যরা গোপনে মটর সাইকেলে তাকে অনুসরণ করছিল।
ভ্যানটি আশাশুনি সাতক্ষীরা সড়কে চিলেডাঙ্গা মোড়ে পৌছলে লাল স্টিকার লাগানো কালো রঙের হোন্ডা মটর সাইকেলে দু’ছিনতাইকারী তার পথ রোধ করে। তারা নিজেদেরকে পুলিশ পরিচয় দিয়ে ভ্যান চালককে লাঠি উচিয়ে হুমকী দিয়ে হাত উচু তরে দাড়াতে নির্দেশ করে। হাত উচু করে দাড়ালে ছিনতাইকারীরা তার কাছে অবৈধ মাল আছে দাবী করে দেহ তল্লাসীর করতে থাকে।
একপর্যায়ে মানি ব্যাগ ও মোবাইল নিয়ে ব্যাগে থাকা ৬১০০ টাকা বের করে ব্যাগ ও মোবাইল ফেরৎ দিয়ে দ্রুত ভ্যান চালিয়ে যেতে আদেশ করে। ভ্যান চালক যাত্রা শুরু করলে ছিনতাইকারীরা দ্রুত আশাশুনির দিকে কেটে পড়ে। ভয়ে ভীত ভ্যান চালক মৎস্য সেটে পৌছে সকলকে বিষয়টি জানায়।
ভ্যান চালক রিপন জানান, লম্বা আকৃতির, গায়ের রং পরিস্কার গোলগাল মুখমন্ডলের মাঝারি স্বাস্থ্যবান ছিনতাইকারীর জিন্সের প্যান্ট ও অ্যাশ কালারের গেঞ্জি গায়ে ছিল। মটর সাইকেলে থাকা দ্বিতীয় জনও লম্বা, পরিস্কার ও গোলগাল চেহারার। দেখলে সে তাদেরকে চিনতে পারবে বলে জানায়।
এব্যাপারে ওসি গোলাম কবির জানান, ছিনতাইয়ের ঘটনা জেনেছি। পুলিশ নয়, ছিনতাইকারী চক্র এটি ঘটাতে পারে। ভিকটিমের কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য নিয়েছি, বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।