এম,এম সাহেব আলী, আশাশুনি থেকে : পবিত্র মাহে রামাজানে কষ্টকাতর মানুষেরা যখন ঠান্ডা আবহাওয়া, আলোবাতাস প্রত্যাশী ও স্থিরমনে ইবাদত করতে অধিক আশাবাদী, তখন আশাশুনি বাসী বিদ্যুতের ঘনঘন প্রস্থানে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে মুসুল্লিরা।
প্রচন্ড খরা, রোদের প্রখর উত্তাপ, দখিণা বাতাসের স্বল্পতার মধ্যে দীর্ঘ সময়ের দিনের মধ্যে পবিত্র রমজানে মুসলমানরা সিয়াম পালন করছেন। করোনার ২য় ঢেউয়ের কারনে লকডাউন থাকায় কিছুটা বন্দিদশার মধ্যে রয়েছেন এলাকার অনেকে। এসময় বিদ্যুতের প্রয়োজন অনস্বীকার্য।
কৃষি কাজে বিশেষ করে ইরিগেশনে সেচ বন্ধ থাকায় সেখানে বিদ্যুতের চাহিদা নেই, অফিস, কল-কারখানা, দোকান পাট, লেদসহ আশাশুনির সকল ছোটখাট প্রতিষ্ঠান বন্ধ বললেও ভুল হবেনা। যা দু’একটি খুলছে তা সীমিত সময়ের জন্য এবং বিদ্যুতের ব্যবহার খুবই কম হচ্ছে সেখানে।
তারপরও আশাশুনিতে প্রতিদিন সকাল, দুপুর, বিকাল, সন্ধ্যা, রাত এমনকি গভীর রাতেও বিদ্যুতের লোডসেডিং হচ্ছে। ২/১০ মিনিটের জন্য নয়, কখনো কখনো ২/৪ ঘন্টারও লোডসেডিং দেখতে হচ্ছে আশাশুনির মানুষকে। মসজিদে দিনের বেলার যোহর, আছরে সালাতরত মুসল্লিরা যেমন ঘর্মাক্তবস্থায় পেরেশানিতে কাবু হচ্ছে, তেমনি মাগরিব, ঈশা-তারাবির সালাতেও বিপর্যস্ত হচ্ছেন মুসল্লিরা।
পল্লী বিদ্যুত সমিতির জনবল, প্রত্যন্ত অঞ্চলে দ্রুত শ্রমিক/কর্মী পৌছানোর ব্যবস্থা থাকা, বিদ্যুতের উৎপাদন রেকর্ড পরিমাণ কিংবা প্রয়োজনীয় বিদ্যুতের সরবরাহ থাকার পরও কেন এমনটি হচ্ছে? এমন প্রশ্ন ছুড়ে ভুক্তভোগি গ্রাহকরা কর্তৃপক্ষের সুনজর ও যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য জোর দাবি জানিয়েছেন।