এমএম সাহেব আলী : আশাশুনিতে হাজারো প্রতাপনগরবাসীর স্বেচ্ছাশ্রম ও পানি উন্নয়ন বোর্ড ঠিকাদারের প্রচেষ্টায় আশাশুনি উপজেলার প্রতাপনগর হরিশখালি বাঁধ আটকানো হলেও মাত্র ৬ ঘণ্টাও টিকানো সম্ভব হয়নি। ফলে এলাকার হাজার হাজার মানুষ আবারও অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়ে গেল।
হরিষখালির দক্ষিণ-পশ্চিম অংশের ভাঙ্গন পয়েন্ট ক্লোজার আটকানো হয় বৃহস্পতিবার। মাত্র ৬ ঘন্টা না যেতেই ক্লোজার ভেঙ্গে পূর্বের ন্যায় বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়ে গেছে।
গত ২৬ মে ঘুর্নিঝড় ইয়াশ এর প্রভাবে হরিশখালির মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ এই বেড়ি বাঁধ ভেঙ্গে প্রতাপনগর অঞ্চল প্লাবিত হয়েছিল। এছাড়া ২০২০ সালের ২০ মে মহা প্রলয়ঙ্কারী ঘুর্নিঝড় আম্ফানের তান্ডবে প্রতাপনগর ইউনিয়নের কয়েকটি পয়েন্টে বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছিল।
সরকারি অর্থে ঠিকাদার সৈয়দ শাহিনুর আলী বাঁধটি নির্মান করলেও মাত্র কয়েক মাসের মধ্যে গত ২৬ মে ঘুর্নিঝড় ইয়াস এর ছোবলে নদীর পানির উচ্চতা বেড়ে যাওয়ায় বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে পুনরায় এলাকা প্লাবিত হয়। ঠিকাদার সৈয়দ শাহিনুর আলী বাঁধ আটকাতে বৃহস্পতিবার দক্ষিণ পশ্চিম অংশের একটি ছোট ভাঙ্গন পয়েন্ট আটকানো সম্ভব হয়।
প্লাবিত হাজারো এলাকাবাসী স্বেচ্ছাশ্রমে স্বতঃস্ফুর্ত অংশ গ্রহণ করে একাজ করেন। কিন্তু সেটিও ভেঙ্গে নিমিষেই শেষ হয়ে গেছে।