আশাশুনি প্রতিনিধি : আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নার্স কল্পনা রানী মন্ডলের বিরুদ্ধে একাধিক কেলেঙ্কারির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, বুধবার সকালে কল্পনা রানী মন্ডলের স্বামী দেবব্রত ঘোষের সাথে আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কথা কাটাকাটি শুরু হয় একপর্যায়ে উপস্থিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের হস্তক্ষেপে পরিবেশ শান্ত হয়।

ঘটনা সূত্রে জানা যায়, নার্স কল্পনা রানী মন্ডল দু’দিন যাবত বাড়িতে না যাওয়ায় তাকে খোঁজ করতে তার স্বামী আশাশুনি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চলে আসেন। এ সময় কল্পনার স্বামী বাড়িতে না যাওয়ার কারণ জানতে চাইলে কল্পনা তাকে কোনো উত্তর দেবোনা বলে জানান। এসময় কল্পনার স্বামী দেবব্রত তার স্ত্রীকে বলে আমার দোষ কোথায় তুমি কেন বাড়ি যাচ্ছ না। এ কথা শোনার পরে কল্পনা বলে আমি বাড়ি যাব কিনা সেটা আমার ব্যাপার।

আমার ব্যক্তিগত ব্যাপারে কাউকে কৈফত দিতে আমি রাজি নই। আমার যা খুশি তাই করব। কল্পনা বলেন তুমি আমার স্বামী সেটা ঠিক আছে কিন্তু সবসময় তোমার কথা মত চলা আমার পক্ষে সম্ভব না। কল্পনার স্বামী তাকে বাড়ি নিয়ে যেতে চাইলে তখন তিনি বলেন আমার যখন মন চাইবে তখন বাড়িতে যাব আমি কারোর কথামত বাড়ি থেকে বের হইনি। সুতরাং কারো ইচ্ছায় আমি বাড়িতে ফিরবনা।

আমার যখন সময় হবে তখন আমি বাড়ি ফিরব তুমি এখন যেতে পারো। এ কথা বলার সাথে সাথে দুজনের মধ্যে আবারও চরম কথা কাটাকাটি শুরু হয়। তখন উপস্থিত সকলে তাদেরকে শান্ত করে বাড়ি যাওয়ার পরিবেশ সৃষ্টি করেন। এরপর কল্পনা রানী মন্ডল বাড়ি চলে যায়।

বাড়িতে তিনি একমুঠো ওষুধ খেয়ে অসুস্থ্য হয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্র জানায়। তার সাথে মোবাইলে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ইতোমধ্যে আশাশুনি হাসপাতালে গুঞ্জন রটেছে কল্পনা রানী মন্ডলের সাথে নাকি অন্য কারো অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে। আলমগীর হোসেন নামের স্থানীয় এক ব্যক্তির সাথে সম্পর্ক থাকায় গোটা হাসপাতাল ক্যাম্পাসে ছি: ছি: পড়ে গেছে। সম্প্রতি এ বিষয়ে জানাজানি হলে শুরু হয় দাম্পত্য কলহ। উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় এই বিষয়টি নিয়ে বিভিন্ন জনের নানান মন্তব্য করতে দেখা গেছে।

এ ব্যাপারে আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা: সুদেষ্ণা সরকারের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমার হাসপাতালের নার্স কল্পনার সাথে তার স্বামীর কথা কাটাকাটি হওয়ার ঘটনাটি আমি শুনেছি। যখন ঘটনা ঘটেছে তখন আমি হাসপাতলে ছিলাম না। পরে উভয়ের সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলেছি বিষয়টা পারিবারিকভাবে মীমাংসার চেষ্টা চলছে। ইতোপূর্বে আউটডোরে তাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু গাফিলতির কারণে সেখান থেকে তাকে প্রত্যাহার করা হয়েছিল।

উপস্থিত সেবা নিতে আসা লোকদের ভাষ্য আশাশুনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের একটা সুনাম রয়েছে কিন্তু হাসপাতালের নার্স কল্পনা রানী মন্ডলের এ ধরনের অনৈতিক ন্যাক্কারজনক কেলেঙ্কারি হাসপাতালের পরিবেশকে কলুষিত করেছে। আশাশুনি হাসপাতালে ভাবমূর্তি রক্ষার ব্যাপারে উপজেলার জনপ্রতিনিধি সচেতন নাগরিক সমাজ নার্স কল্পনা রানী ম-লকে দ্রুত প্রত্যাহারের জন্য সিভিল সার্জনসহ যথাযথ কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *