অনলাইন ডেস্ক : আশা জাগিয়ে শেষের অনিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ছুটে গেল টি-টুয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। মিরপুরে স্বাগতিকদের দেয়া ১২৮ রানের লক্ষ্য বাবর আজমের দল তাড়া করে ৪ বল ও ৪ উইকেট হাতে রেখে।
সাকিব-তামিম-মুশফিকদের ছাড়াই পাকিস্তানকে চেপে ধরেছিল বাংলাদেশ। শেষ ৩ ওভারে সফরকারীদের দরকার ছিল ৩২ রান। ১৮ ও ১৯তম ওভারে মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম মিলে দেন ৩০ রান। তাতে হাতছাড়া হয়ে যায় ম্যাচ।
শেষ ওভারে যখন ২ রান দরকার, তখন বোলিংয়ে আনা হয় আমিনুল ইসলাম বিপ্লবকে। প্রথম বল ডট করলেও দ্বিতীয় বলে সাদাব খান বিশাল এক ছক্কায় খেলা শেষ করে দেন। এই লেগিকে আগে বোলিংয়ে না আনায় প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্ব। মূল বোলার হিসেবে বিপ্লব খেললেও অধিনায়ক নিজেই করেন ৩ ওভার।
শাদাব ১০ বলে ২১ ও মোহাম্মদ নেওয়াজ ৮ বলে ১৮ রান করে অপরাজিত থাকেন। ফখর জামান ও খুশদিল শাহ উভয়েই ৩৪ রানের ইনিংস খেলে যান। অথচ বোলিংয়ে কী শুরুটাই না করেছিল বাংলাদেশ। ২৪ রানে পাকিস্তানের ৪ উইকেট তুলে নেয় স্বাগতিকরা। শেষের নির্বিষ বোলিংয়ে ডুবে যায় আশার তরী। ৪ উইকেটের জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে গেল পাকিস্তান। সিরিজের দ্বিতীয় ম্যাচ শনিবার।
তাসকিন আহমেদ ৪ ওভারে ২১ রানে নেন ২টি উইকেট। একটি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান, মোস্তাফিজুর রহমান ও শরিফুল ইসলাম।
শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামের মন্থর উইকেটে টস জিতে আগে ব্যাটিং বেছে নেয় বাংলাদেশ। ৬১৮ দিন মিরপুরের গ্যালারিতে ফিরে টাইগারভক্তদের হতাশা নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয়েছে।
শুরুর ব্যাটিং বিপর্যয় কাটিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম টি-টুয়েন্টিতে ১২৭ রানের পুঁজি গড়ে বাংলাদেশ। আফিফ হোসেন ৩৪ বলে ৩৬ ও নুরুল হাসান সোহান ২২ বলে ২৮ রানের ইনিংস খেললে একশ পেরোয়।
শেষে শেখ মেহেদী হাসানের ২০ বলে ৩০ রানের অপরাজিত ইনিংসে সংগ্রহ আরেকটু বড় হয় স্বাগতিকদের। শেষ বলে তাসকিন আহমেদ বিশাল এক ছক্কা মারেন। ৩ বলে ৮ রান করে থাকেন অপরাজিত। ২০ ওভারে স্বাগতিকরা হারায় ৭ উইকেট।
বাংলাদেশের তিন ব্যাটার ছাড়া কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। পাকিস্তান পেসার হাসান আলি নেন ৩ উইকেট। মোহাম্মদ ওয়াসিম নেন ২ উইকেট। শাদাব খান ও মোহাম্মদ নেওয়াজ নেন একটি করে।
শুরুতে ব্যাটিংয়ে নামা বাংলাদেশকে ভুগিয়েছে পাওয়ার প্লে। নতুনদের নিয়ে পথচলার শুরুতে একদম এলোমেলো ছিল টিম টাইগার্স। বাংলাদেশ প্রথম ৬ ওভারে ৩ উইকেট হারিয়ে তোলে মাত্র ২৫ রান। দ্রুতই ফিরে যান নিয়মিত ওপেনার নাঈম শেখ (১)। টি-টুয়েন্টিতে অভিষিক্ত সাইফ হাসানও হতাশা করেন। ফেরেন ১ রান করে।
অনেকদিন পর টি-টুয়েন্টি দলে ফেরা নাজমুল হোসেন শান্ত টিকতে পারেননি বেশিক্ষণ। ৭ রান করে বিলিয়ে আসেন উইকেট। ১৫ রানে তরুণ তিন ব্যাটারকে হারায় বাংলাদেশ। অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ৬ রান করে ফেরেন দলীয় পঞ্চাশের আগেই।
বিপর্যয় কাটিয়ে দলকে রানে রাখেন আফিফ-সোহান। আর শেষে তাসকিন ও মেহেদী ঝড়ে বাংলাদেশ পায় লড়াইয়ের পুঁজি। কিন্তু শেষের বোলিংয়ে সকলের নাম লেখা থাকল হারের খাতাতেই।