স্টাফ রিপোর্টার : আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন কে সামনে রেখে সদরের বৈকারী মাদক ও সন্ত্রাসসহ ১২ মামলার আসামী শফিকুল ইসলাম মিলন বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। শফিকুল ইসলাম মিলন জামাত সমর্থক ও সাবেক ইউপি সদস্য।
আসন্ন ১১ নভেম্বর সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান অসলে কে পরাজিত করতে ও নির্বাচন বাঁধাগ্রস্থ করার লক্ষে স্থানীয় নূর মোহম্মদের ছেলে ওয়ার্ড জামাতের সভাপতি মাসুমের ইন্দনে তারই ভাই সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম মিলন জামাত সমর্থক চেয়ারম্যান প্রার্থী জালাল উদ্দীনের হয়ে বৈকারী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে সাধারণ ভোটারদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে।
সূত্রে জানাগেছে, সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম মিলন এলাকার চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ীদের সংঘবদ্ধ করে নৌকা প্রতিকের প্রচার প্রচারনা বন্ধ করাসহ নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বিভিন্ন হুমকি দিচ্ছেন ১২ মামলার আসামী মিলন।
সূত্র আরো জানায়, মিলন বৈকারী বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন আমিনুরের চায়ের দোকানে প্রকাশ্যে সাধারণ ভোটারদের হুমকি দিয়েছেন। এছাড়া বৈকারী দক্ষিণপাড়া, বৈকারী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে হিন্দু সম্প্রদায়ের ভোটাদের ভয়-ভিতি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। ১১ নভেম্বর বৈকারী ইউপি নির্বাচনে ভোট কেন্দ্র দখল হয়ে যাবে, ব্যাপাক মারামারি হবে বলে অপপ্রচার দিচ্ছে ওই মিলন।
এছাড়া জামাত নেতা মাসুম ও তার ভাই মিলন জামাত-শিবিরের কর্মী সমর্থকদের সংঘবদ্ধ করে ইতি মধ্যে এলাকায় এলাকায় গোপন বৈঠক করেছে।
প্রসংগত, গত ১৪ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার বৈকারী ইউনিয়নে নৌকার পক্ষে নির্বাচনী গণসংযোগ কালে আওয়ামী লীগ কর্মীদের উপর জামাত সমর্থকদের অতর্কিত হামলার ঘটনা ঘটে। বৈকারী ৪নং ওয়ার্ডে বিজিবি বিওপির দক্ষিণ পাশে রাত ১১টার দিকে জামাত, নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটায়।
আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে জামাত সমর্থক চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী জালাল উদ্দীনের নেতৃত্বে ৬০/৭০ জন জামাত-শিবির কর্মী স্থানীয় নূর মোহম্মদের ছেলে মাসুম ও মিলনের বাড়ির উঠানে গোপন বৈঠক করছিলো।
একই সময় আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদ প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান অছলের ৮/১০জন কর্মী নৌকা প্রতিকের নির্বাচনী গণসংযোগে গেলে কুখ্যাত রাজাকার জহিরুল ইসলাম টিক্কা খানের ভাগনে নুরুজ্জামান মেঝ খোকা, অস্ত্র ও মাদকসহ ১৫টি মামলার আসামী সাবেক ইউপি সদস্য শফিকুল ইসলাম মিলন, জামাত নেতা আব্দুর রহিম, ইজরাইল হোসেন, মাও. রহিম উদ্দীন, নূর মোহাম্মদের ছেলে মাসুম ও মিলনসহ জামাত-শিবিরের প্রায় ৬০/৭০ জন সন্ত্রাসী তাদের পূর্ব থেকে তৈরী করে রাখা মেহগনী, বাঁশের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে তাদের উপর হামলা চালায়।
এসময় আওয়ামী লীগের চেয়ারম্যান প্রার্থী আসাদুজ্জামান অছলের অন্য সমর্থকরা খবর পেয়ে দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌছালে জামাত নেতা চেয়ারম্যান প্রার্থী জালাল উদ্দীনের সন্ত্রাসীরা ওই এলাকা থেকে দৌড়ে পালিয়ে যায়।