নিজস্ব প্রতিনিধি : গত ১১-ই নভেম্বরে ইউপি নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ায় সহিংস তান্ডব ও বর্বর হামলার ঘটনা ঘটেছে ঘোনা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামে। প্রায় শতাধিক অসহায় জেলে ও কৃষিজীবি গরীব অসহায় পরিবারের উপর। অমানবিক হামলা ও নির্যাতন এবং অত্যাচারের পরও আহতদেরকে হাসপাতালে নিতে বাঁধা দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৪ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আবারও হামলার ভয়ে মামলা করা তো দূরের কথা গ্রামের পুরুষরা এলাকা ছাড়ছে ভয়ে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় জনপদটি পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে।
বর্বর হামলায় আহত ঘোনা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের সেলিম হোসেন, আব্দুর রহিম, জরিনা বেগম, আকলিমা খাতুন, মহিদুল গাজী, হানিফ গাজী ও কামরুল গাজীসহ আহতরা জানান, ভাই আমাদের বাঁচান, আমরা আওয়ামী লীগের নৌকায় ভোট দিয়েছি কেন, আমরা নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী আব্দুল কাদের’র মটরসাইকেল মার্কায় ভোট কেন দেয়নি। তাকে ভোট না দেওয়ায় আব্দুল কাদের’র নির্দেশে ভাড়ুখালী এলাকার তুহিন ও রিজভীর নেতৃত্বে আমাদের উপর এ হামলা করেছে।
দেশীয় অস্ত্র, লাঠি ও জিআই পাইপ নিয়ে প্রায় দেড় শতাধিক সন্ত্রাসী বাহিনী আমাদের উপর এ হামলা করেছে। নারী-পুরুষ, বয়োবৃদ্ধ ও স্ট্রোকের রোগী সকলের উপর এ বর্বর হামলা করেছে তারা। হামলায় আহত হয়েছে ২০/২৫ জন গরীব মানুষ। কয়েকজন গুরুতর আহত হয়েছে। কিন্তু আহতদেরকে এ্যাম্বুলেন্সে করে হাসপাতালেও নিতে দেয়নি কাদের’র সন্ত্রাসী বাহিনী। আমাদের অপরাধ আমরা নৌকায় কেন ভোট দিয়েছি।
হামলার শেষ পর্যায়ে রিজভী নামের এক সন্ত্রাসীকে এলাকাবাসী আটক করে বেঁধে রাখলে ঘোনা ইউনিয়নের বিট অফিসার শিমুল ঘটনাস্থলে গিয়ে হামলায় আহত ও এলাকাবাসীর উপর চড়াও হয়ে বলে ওকে বেঁধে রেখেছো কেন ?
হামলাকারীকে গ্রেফতার না করে তাকে ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। অদৃশ্য কারণে হামলাকারীদের কিছু না বলে আমাদেরকে শাসিয়েছে। এ কেমন বিচার। ঘোনা ইউনিয়নে ১১ নভেম্বরের ইউপি নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতিকে ভোট দেওয়ায় আওয়ামী লীগের নৌকার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী প্রার্থী সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের বহিস্কারকৃত সহ-সভাপতি আব্দুল কাদের’র নির্দেশে নির্বাচন পরবর্তী সহিংস তান্ডব ও বর্বর হামলা ঘটেছে।
বর্তমানে ঘোনা ইউনিয়নের গাজীপুর গ্রামের প্রায় শতাধিক পরিবার আবারও হামলার আশংঙ্খায় আতংকিত হয়ে এলাকা ছাড়ছে এবং হামলার ভয়ে পুরুষ শুন্য হয়ে পড়েছে গ্রামটি। আতংকিত ঐ জনপদের নারী-শিশু এবং সেই সাথে হামলার ভয়ে চরম আতংকে দিন কাটাচ্ছে শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ সরকার যখন রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় থাকা স্বর্থেও এধরনের বর্বর হামলা কারও কাম্য নয়। দেশের মুজিব সৈনিকরা কোথায় ?
এখনই সময় আওয়ামীলীগের শক্রুদের দমন করা। তানাহলে আওয়ামীলীগের শক্রুরা আবারও মাথাচাড়া দিয়ে উঠবে। বর্বর এ হামলার প্রতিকার চেয়ে ভুক্তভোগীরা হামলাকারীদের দ্রুত গ্রেফতার ও দৃষ্ট্রান্তমূলক বিচার চেয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় মন্ত্রী এবং প্রশাসনের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।