অনলাইন ডেস্ক : তাসমান সাগরপাড়ের দুই প্রতিবেশীর ফাইনাল লড়াইয়ে শেষে মন ভাঙল নিউজিল্যান্ডের। কেন উইলিয়ামসনদের হারিয়ে টি-টুয়েন্টির নতুন চ্যাম্পিয়ন এখন অ্যারন ফিঞ্চের অস্ট্রেলিয়া।
দুবাইয়ে শিরোপার মঞ্চে নিউজিল্যান্ডের দেয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্য ৮ উইকেট ও ৭ বল অক্ষত রেখে ছুঁয়ে ফেলেছে অস্ট্রেলিয়া। ছোট ফরম্যাটে দুবার ফাইনালে উঠে প্রথম শিরোপার দেখা পেল অজিবাহিনী। আগেরবার, ২০১০ সালে হেরেছিল ইংল্যান্ডের কাছে।
বিপরীতে প্রথমবার ফাইনালে উঠে হারের তেতো স্বাদ পেল কিউইরা। ওয়ানডে বিশ্বকাপের গত দুটি আসরেও অস্ট্রেলিয়া ও ইংল্যান্ডের কাছে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছে টানা তিনটি আইসিসি ইভেন্টের সেরা দুইয়ে পৌঁছা নিউজিল্যান্ডের।
রোববার শুরুতে ব্যাট করে কেন উইলিয়ামসনের ১০ চার ও ৩ ছয়ে ৪৮ বলে খেলা ৮৫ রানের ইনিংসে ভর করে ৪ উইকেটে ১৭২ জমিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। লক্ষ্য তাড়ায় এসে ডেভিড ওয়ার্নারের ৩৪ বলে ফিফটি ও মিচেল মার্শের ৩১ বলে অর্ধশতকে অস্ট্রেলিয়া আরামসে জয়ে নোঙর ফেলে।
জবাব দিতে নেমে শুরুতেই ফিরে যান ফিঞ্চ (৫)। অধিনায়ককে হারিয়ে মোটেই ভড়কে যাননি ওয়ার্নার ও মার্শ। পাল্টা আক্রমণে জুটিতে তুলে ফেলেন ৯২ রান, সেটিও কেবল ৬১ বলে। ওয়ার্নার ৫৩ করে ফিরলে ভাঙে জুটি। ৪ চারের সঙ্গে ৩ ছয়ে ৩৮ বলে সাজানো ইনিংস।
ম্যাক্সওয়েলকে নিয়ে বাকি কাজটুকু সেরে আসেন মার্শ। অবিচ্ছিন্ন জুটিতে দুজনে যোগ করেন ৬৪ রান। ৪ চার ও এক ছয়ে ১৮ বলে অপরাজিত ২৮ রানের ইনিংস দেন ম্যাক্সি। মার্শ অপরাজিত থাকেন ৭৭ রানে। ৬ চারের পিঠে ৪ ছক্কায় ৫০ বলের ইনিংস।
এদিন উইলিয়ামসন ১৭ রানে থাকার সময় ক্যাচ ছেড়েছিলেন হ্যাজেলউড, ইনিংসের শেষদিকে কিউই অধিনায়ককে আউট করেন অজি পেসারই। ততক্ষণে উইলিয়ামসন ঝড় তুলে দলকে দিয়ে যান ১৭২ রানের পুঁজি।
শিরোপার মঞ্চে মার্টিন গাপটিল ৩৫ বলে ২৮ ও তার ওপেনিং সঙ্গী ড্যারিল মিচেল ৮ বলে ১১ রানের ইনিংস খেলে গেলে ধীরস্থির উদ্বোধনী পায় কিউইরা। প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে তুলতে পারে কেবল ৫৭ রান।
ইনিংসের শেষভাগে চাকা ঘোরান উইলিয়ামসন। গ্লেন ফিলিপসকে নিয়ে যোগ করেন ৬৮ রান, ৩৭ বলে। একটি করে চার-ছয়ে ১৭ বলে ১৮ করে যান ফিলিপস। ১৬তম ওভারে স্টার্ককে ঝড়ের মুখে ফেলে ২২ রান নেন উইলিয়ামসন।
পরের ওভারে অধিনায়ক আউট হয়ে ফিরলেও নিশাম ৭ বলে অপরাজিত ১৩ ও সেইফার্ট ৬ বলে অপরাজিত ৮ রান করে সংগ্রহ বাড়িয়ে দেন। হ্যাজেলউড ৪ ওভারে মাত্র ১৬ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। সমান ওভারে ২৬ রানে ১ উইকেট জাস্পার, ২৭ রানে উইকেটশূন্য কামিন্স। উইকেটশূন্য স্টার্কের ৪ ওভারে খরচ ৬০ রান।