সাতক্ষীরা টাইমস টোয়েন্টিফোর ডেস্ক : পদ্মা সেতু বাংলাদেশের পদ্মা নদীর ওপর নির্মাণাধীন একটি বহুমুখী সড়ক ও রেল সেতু। এর মাধ্যমে মুন্সীগঞ্জের লৌহজংয়ের সঙ্গে শরীয়তপুর ও মাদারীপুর যুক্ত হবে। ঢাকার সঙ্গে দেশের দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর মানুষের যাতায়াত হবে আরও সহজ ও সময়সাশ্রয়ী।
স্বপ্নের এই পদ্মা সেতু চলাচলের জন্য প্রস্তুত। আগামী ২৫ জুন দেশের কোটি মানুষের কাঙ্ক্ষিত এ সেতু উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর সর্বসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হবে প্রমত্তা পদ্মার ওপর নির্মিত এ সেতু।
পদ্মা সেতু সম্পর্কে এক নজরে দেখে নেয়া যাক-
* বিশ্বের ১১তম দীর্ঘ সেতুর পুরো নাম ‘পদ্মা বহুমুখী সেতু’।
* সেতুটি নির্মাণের জন্য ৯১৮ হেক্টর জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছে।
* এই সেতুর নির্মাণ প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড।
* সেতুর নকশা প্রণয়ন করেছে আমেরিকার মাল্টিন্যাশনাল ইঞ্জিনিয়ারিং ফার্ম AECOM.
* সেতুটির দৈর্ঘ্য ৬ দশমিক ১৫ কিলোমিটার (২০,২০০০ ফুট)
* প্রস্থ ১৮ দশমিক ১০ মিটার (৫৯.৪ ফুট)।
* নির্মাণকাজ শুরু হয় ২০১৪ সালের ৭ ডিসেম্বর।
* সেতুটি রক্ষণাবেক্ষণ করছে বাংলাদেশ সেতু কর্তৃপক্ষ এবং তদারকির দায়িত্ব পালন করছে কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে ও বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।
* সেতুর নিকটতম সেনানিবাস হলো পদ্মা সেনানিবাস।
* প্রতিদিন গড়ে ৭৫ হাজার যানবাহন চলাচল করবে।
* ভূমিকম্প সহনশীল মাত্রা ৯
* সেতুটির ভায়াডাক্ট ৩ দশমিক ১৮ কিলোমিটার এবং পিলার ৮১টি। মোট স্প্যান সংখ্যা ৪১।
* প্রতিটি স্পেনের দৈর্ঘ্য ১৫০ মিটার এবং প্রতিটি স্পেনের ওজন ৩ হাজার ২০০ টন।
* সেতুর স্থানাঙ্ক ২৩.৪৪৬০ ডিগ্রি (উত্তর) এবং ৯০.২৬২৩ ডিগ্রি (পূর্ব)।
* পানির স্তর থেকে এই অত্যাধুনিক সেতুর উচ্চতা ৬০ ফুট এবং এর পাইলিং গভীরতা ৩৮৩ ফুট।
* সেতুর উপরের তলায় চার লেনের সড়ক এবং নিচতলায় থাকবে রেললাইন।
* সংযোগ সড়ক হচ্ছে জাজিরা ও মাওয়া।
* সংযোগ সড়কের দূরত্ব ১৪ কিলোমিটার।
* দুই পাড়ে নদী শাসন ১২ কিলোমিটার।
* এই সেতু দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ২৯টি জেলার সঙ্গে সংযোগ ত্বরান্বিত হবে।