দীপক শেঠ, কলারোয়া : করোনা মোকাবেলায় কঠোর লকডাউনের চতুর্থ দিনে কলারোয়ায়
ভ্রাম্যমান আদালতে বিভিন্ন অপরাধে কয়েকজনকে জরিমানা করা হয়েছে। সরকার ঘোষিত ১ জুলাই থেকে কঠোর বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে উপজেলা ব্যাপি একাধিক গুরুত্বপূর্ন স্থানে পৃথকভাবে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।

রবিবার (৪ জুলাই) পৌর সদরে বেলা ১২ টার দিকে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন
করোনাকালীন কলারোয়ায় জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল্যা আল আলামিন।

তিনি সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে কয়েকজনকে ২ হাজার টাকা জরিমানা করেন। আদালতের কার্যক্রম চলমান রেখে তিনি উপজেলার সিংহলাল-বাটরা, সরসকাটি, ধানদিয়া, বামনখালি, কাজীরহাট বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে কঠোর তৎপর ছিলেন।

অনুরুপভাবে, করোনাভাইরাসজনিত রোগ(কোভিড-১৯) এর বিস্তার রোধকল্পে ১ জুলাই
থেকে সরকারের আরোপিত চলাচলে বিধি-নিষেধ মোকাবেলায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার
(ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয়েছে।

পৃথকভাবে পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে ইতোমধ্যে পৌর সদরসহ সীমান্তবর্তী গয়ড়া, সোনাবাড়িয়া, বালিয়াডাঙ্গা এলাকায় মাস্ক পরিধান না করা ও স্বাস্থ্যবিধি অনুসরন না করার অপরাধে কয়েকজনকে ৯ হাজার ২শত টাকা জরিমান করা হয়।

সমন্বিত ভ্রাম্যমান আদালতের অপর বিচারক ছিলেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তার হোসেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী ছিলেন আ: মান্নান। এ সময় সার্বিক সহযোগীতা করেন, সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার কর্মকর্তা ও সদস্যবৃন্দ।

সরকারি নির্দেশিত বিধি-নিষেধ বাস্তবায়নে বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন ও ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে ইউএনও জুবায়ের হোসেন চৌধুরী সকলকে মাস্ক পরিধান ও সরকারী নির্দেশনা মেনে চলার আহবান জানান।

তিনি আরও বলেন, আর্থিক জরিমানা করায় আমাদের লক্ষ্য নয়, আপনাদের সুরক্ষিত রাখতেই সরকারী বিধি নিষেধ অমান্যকারীদের জন্য ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *