দীপক শেঠ, কলারোয়া: কলারোয়ার সীমান্তবর্তী কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মাস্টার শফিকুল ইসলাম (৫২) আর নেই। সোমবার রাত ৯ টার দিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসারত অবস্থায় তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)।
তিনি উপজেলার হঠাৎগঞ্জ মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করতেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, দুই ছেলে, এক মেয়ে আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁর বাড়ি কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের বাকশা গ্রামে। পিতার নাম মরহুম রমজান আলী।
কেঁড়াগাছি ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও উপজেলা বিএনপি’র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আশরাফ হোসেন জানান, বিএনপি নেতা মাস্টার শফিকুল ইসলাম বেশ কিছুদিন ধরে কিডনিসহ নানা অসুখে ভুগছিলেন। প্রথম পর্যায়ে তিনি সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।
সেখানে চিকিৎসারত অবস্থায় সোমবার রাত ৯ টার দিকে তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। তাঁর মৃত্যুর খবরে কেঁড়াগাছিসহ গোটা কলারোয়া উপজেলায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। কেন্দ্রীয় বিএনপির প্রকাশনা সম্পাদক ও সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব সংবাদ পেয়ে তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
এ সময় তিনি বলেন, বিএনপি নেতা শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে এক অপূরণীয় ক্ষতি হলো। আমরা সকলেই শোকাহত। সাবেক এমপি হাবিবুল ইসলাম হাবিব গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করেন।
এ সময় তাঁর সাথে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুর রশিদ মিয়া, বিএনপি নেতা সাখাওয়াত হোসেন মুকুল, উপজেলা যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক কেএম আশরাফুজ্জামান পলাশ, যুগ্ম আহ্বায়ক সালাউদ্দিন পারভেজ, সোনাবাড়িয়া ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি নাসিরউদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ, দেয়াড়া যুবদল নেতা মঞ্জু, লাল্টুসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
মাস্টার শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়ে সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিএনপি নেতা আশরাফ হোসেন বলেন, মাস্টার শফিকুল ইসলামের মৃত্যুতে বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনে এক অপূরণীয় শূন্যতার সৃষ্টি হলো। তাঁর মতো ত্যাগী ও আদর্শবান রাজনীতিবিদ এ অঞ্চলে সত্যিই বিরল। মরহুমের বড় ছেলে আলিফ রহমান জানান, মঙ্গলবার জোহরের নামাজের পর বাকসা গ্রামে তার পিতা মরহুম শফিকুল ইসলামের নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।