দীপক শেঠ, কলারোয়া : মহান বিজয়ের মাসে স্বাধীনতাকামী মানুষের প্রাণের স্পন্দন কলারোয়ায় মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও শহীদ মিনার চত্বরে রঙ্গিন আলোয় সজ্জিত ও বেষ্টনী নির্মান করে শহীদদেরকে চিরস্মরনীয় করে রাখা হয়েছে।

মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষ আজ স্বাধীনতার গৌরবে গৌরাবান্বিত হয়ে কলারোয়া পৌরসভাকে কৃতজ্ঞতার বন্ধনে আবদ্ধ করে রেখেছে।

জানা গেছে, কলারোয়া পৌরসভাধীন জি,কে,এম,কে সরকারি পাইলট হাইস্কুল খেলার মাঠের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও শহীদ মিনারটি দীর্ঘদিন যাবৎ অযত্নে-অবহেলায় ও অরক্ষিত অবস্থায় পড়ে ছিলো। প্রতি বছর জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য স্বাধীনতার স্বপক্ষের মানুষের সমাবেশ ঘটলেও চত্বরটিতে ছিলো না দীর্ঘমেয়াদী কোন রক্ষনাবেক্ষণের পরিবেশ।

বিজয়ের মাসে অবহেলিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও শহীদ মিনার চত্বরটিতে মনোরম পরিবেশ বজায় রেখে সুরক্ষিত রাখার প্রত্যয়ে এগিয়ে এসেছে কলারোয়া পৌরসভা কতৃপক্ষ। পৌর সভার উপ-সহকারী প্রকৌশলী (বিদ্যুৎ) এসএম সোহওয়ার্দ্দী হোসেন জানান, সম্প্রতি পৌরসভার রাজস্ব খাত থেকে বরাদ্দকৃত ৩ লক্ষাধিক টাকা ব্যয়ে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও শহীদ মিনার চত্বর এলাকাটি পাকাকরণ, সীমানা বেষ্টনী ও আলোক সজ্জ্বায় সজ্জিত করা হয়েছে।

চত্বরের প্রবেশদ্বারে লোহার গেট, সীমানার চারিপাশে গ্রীলের বেষ্টনী, সীমানার একাংশে চলমান (ভাঁজকৃত) কলাপসিবাল গেট, বল আকৃতির ২০ পিস লাল, নীল, সবুজ রংয়ের বাল্ব (বাতি), ২ টি এলইডি বাল্ব( সার্স লাইট) ব্যবহার করে স্মৃতিস্তম্ভকে সুরক্ষিত ও দর্শণীয় করে তোলা হয়েছে।

এ ব্যাপারে, পৌর সভার মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল জানান, মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়
বিশ্বাসী হয়ে পৌরসভার ধারাবাহিক উন্নয়নের অংশ হিসাবে মুক্তিযুদ্ধের ও ভাষা সৈনিকদের স্মৃতিকে লালন করার প্রত্যয়ে পৌর কতৃপক্ষ অঙ্গীকার বদ্ধ।

বিজয়ের মাসে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় দিনগুলি তুলে ধরার প্রচেষ্টায় আজ নিজেকে গৌরবান্বিত মনে করছি। তিনি উপজেলা প্রশাসন, বীর মুক্তিযোদ্ধাগণ, পৌর কাউন্সিলর, প্রশাসনিক কর্মকর্তা-কর্মচারী ও উপজেলাবাসিকে সার্বিক সহযোগীতার জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী বলেন, কলারোয়ায় অবস্থিত মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্তম্ভ ও শহীদ মিনার চত্বরটিতে মনোরম পরিবেশ ও সুরক্ষিত রাখার কর্মযজ্ঞকে আমি সাধুবাদ জানাই। তিনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী মানুষের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *