দীপক শেঠ, কলারোয়া : কলারোয়ায় কেরালকাতা ও কুশোডাঙ্গায় আসন্ন ইউপি নির্বাচন প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। আগামী ৫ জানুয়ারী-২২’ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দুই ইউপি নির্বাচন। উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন কতৃক ঘোষিত ৫ম ধাপের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন-২১’ কলারোয়া উপজেলার ৮ নং কেরালকাতা ও ১০ নং কুশোডাঙ্গা ইউপি’র নির্বাচন অনুষ্ঠানের তফসিল মোতাবেক সোমবার (২০ ডিসেম্বর) উৎসব মূখর পরিবেশে চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্য পদেও প্রার্থীদের প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
৮নং কেরালকাতা ইউপি নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে আ’লীগ দলীয় সহ ৩ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দীতা করছেন। তার মধ্যে আ’লীগ মনোনিত দলীয় প্রার্থী স,ম মোরশেদ আলী (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী সরদার আব্দুর রউফ (মটর সাইকেল) ও বিএনপি ঘরোনার স্বতন্ত্র প্রার্থী আব্দুর রাজ্জাক (আনারস)।
এ দিকে ১০ নং কুশোডাঙ্গা ইউপির ৪ জন চেয়ারম্যান প্রার্থীর মধ্যে আ’লীগ দলীয় প্রার্থী আসলামুল আলম আসলাম (নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী হাফিজুর রহমান (চশমা), আ’লীগ ঘরোনার স্বতন্ত্র প্রার্থী সাঈদ আলী গাজী (মটর সাইকেল) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়াউল ইসলাম (আনারস)।
এ ছাড়া কেরালকাতা ইউনিয়নে ৯টি ওয়ার্ডে মোট সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১২ জন প্রার্থী ও সাধারন সদস্য (মেম্বর) পদে ৪০ জন প্রার্থীর মাঝে বিভিন্ন ধরনের প্রতীক বরাদ্দ করা হয়েছে। অনুরুপভাবে ১০ নং কুশোডাঙ্গা ইউপিতে সংরক্ষিত মহিলা আসনে ১১ জন ও সাধারন সদস্য আসনে ৩১ জন প্রার্থীদে মাঝে ভিন্ন ভিন্ন প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হয়।
আগামী ৫ জানুয়ারী-২২’ ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪ টা পর্যন্ত।
অনুষ্ঠিতব্য ভোটে ৮ নং কেরালকাতা ইউনিয়নের ১৬ হাজার ৪১৪ জন ভোটার (পূর্বে প্রকাশিত) ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। এর মধ্যে পুরুষ ৮ হাজার ১৬১ জন ও মহিলা ভোটার ৮ হাজার ২৫৩ জন। ১০ নং কুশোডাঙ্গা ইউনিয়নে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ হাজার ৭৯৫ জন(পূর্বে প্রকাশিত)। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ হাজার ২৬২ জন ও মহিলা ভোটার ৬ হাজার ৫৩৩ জন।
উপজেলা নির্বাচন অফিসার মনোরঞ্জন বিশ্বাস জানান, উভয় ইউনিয়নের পূর্বে প্রকাশিত ভোটার তালিকা থেকে ভোটারের নাম সংযোজন ও বিয়োজন শেষে পূর্নাঙ্গ ভোটার তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি আরও জানান, সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে ভোট গ্রহনের লক্ষ্যে নির্বাচনী সকল প্রক্রিয়া চলমান রয়েছে।
এ দিকে, উপজেলার ২টি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের নির্ঘন্ট বাজার পর পরই সকল প্রার্থীদের গণসংযোগ চললেও প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে প্রচার-প্রচারণা আরও জমে ঊঠেছে।