দীপক শেঠ, কলারোয়া : কলারোয়ার পশুহাট মোড়ে অস্থায়ী কোরবানি পশুর চামড়ার
বাজারে চামড়া বিক্রয় করতে এসে হতাশ সাধারন বিক্রেতাসহ মৌসুমি ব্যবসায়ীরা।
বুধবার (২১ জুলাই) ঈদুল আজহা উপলক্ষে কোরবানির পরপরই এখানে চামড়া বিক্রি
করতে আসেন মুরারীকাটি গ্রামের আব্দুস সামাদ।

তিনি বিভিন্ন জায়গা থেকে কয়েকটি ষাঁড় ও ছাগলের চামড়া সংগ্রহ করে বেলা ১২ টার দিকে ওই অস্থায়ী বাজারে চামড়া বিক্রয় করতে আসেন। চামড়া বিক্রি করতে পারলেও বিক্রেতা
হতাশার সুরে জানালেন চামড়ার দাম পাচ্ছি না। তাই শেষ পর্যন্ত ছাগলের চামড়া
১০ থেকে ২০ টাকা আর গাভী গরুর চামড়া ১২০ থেকে ১৫০ টাকায় বিক্রি করতে হলো।

তেমনি ভাবে চামড়া বিক্রেতা কুশোডাঙ্গার মফিজুল ইসলাম বিষন্ন মনে জানালেন
আগে বুঝতে পারলে চামড়া বিক্রি করতে বাজারে এসে মূল্যবান সময়টুকু নষ্ট
করতাম না। অনেকেই নিজের পারিবারিকভাবে কোরবানি দেয়া পশুর চামড়া বিক্রি
করতে এসে পৌর সভার বিভিন্ন মোড়ে ঘুরেও চামড়ার দাম না পেয়ে ক্ষোভে-দু:খে
বাড়িতে যেয়ে চামড়া মাটিতে পুতে দিয়েছেন বলে জানা গেছে।

পৌর সদরের পশু হাট মোড়ে অস্থায়ী চামড়া বাজারে স্থানীয় চামড়া ব্যবসায়ী (ক্রেতা) তুলশিডাঙ্গা গ্রামের সোহেল রানা বাবু ও মির্জাপুরের ইমাদুলের সাথে কথা হয়।

তারা বলেন, চামড়া কেনার জন্য অর্থের সংকট রয়েছে যার জন্য সরকারের বেঁধে দেওয়া
চামড়ার দামের অতিরিক্ত দামে পাইকারি চামড়া ব্যবসায়ীরা কেউ চামড়া সংগ্রহ
করছেন না। আর চামড়া সংগ্রহ করে সেটি বাজার জাত করতে যে প্রক্রিয়ায়
সংরক্ষণ করতে হয় সেটিও অনেক ব্যয়বহুল।

তাছাড়া প্রক্রিয়া করণে চামড়ার ক্ষতি হলে সে চামড়া সম্পূর্ন মুল্যহীন হয়ে যায়। তবে কিছু ষাঁড় গরুর চামড়া মানসম্পন্ন ও উন্নত হওয়ায় সে সকল চামড়া বিক্রেতারা প্রতিটি চামড়া ৫০০ শত টাকা মূল্যে বিক্রয় করে সঠিক দাম পেয়েছেন বলে জানান। বর্তমানে পাইকারি
চামড়া ব্যবসায়ীরা পুঁজি হারানোর আশঙ্খায় দিন কাটাচ্ছেন বলে জানা যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *