দীপক শেঠ, কলারোয়া : কলারোয়ায় লকডাউনের চতুর্থ সপ্তাহের প্রথম দিন কঠোর অবস্থানে অতিবাহিত হয়েছে। শুক্রবার (২৫ জুন) সকাল ৮টা থেকে সকাল ১১ টা পর্যন্ত পৌর বাজারে কেবল মাত্র মুদি দোকান, মাছ ও সবজি বাজার খোলা থাকতে দেখা গেছে।

তবে প্রধান সড়কসহ একাধিক রাস্তায় খুব সিমীত সংখ্যক ইজিবাইক, মটরসাইকেল, ট্রলি, নসিমন, ইনজিন ভ্যানসহ মিনি পরিবহন চললেও জরুরী প্রয়োজন ছাড়া কোন পথচারীকে রাস্তায় দেখা যায়নি।

তবে চলতি পথচারীদের মধ্যে মাক্স পরিধান ও সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার অপরাধে তিরস্কারসহ জরিমানা করা হয়। এই দিনে পৌরসদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা ছিলো লক্ষণীয়।

এ দিকে কিছু মুনাফাখোর ও অসেচতন ব্যবসায়ীর দোকান বন্ধে লুকোচুরি খেলতে দেখা গেছে। এ ছাড়া সমাগম এড়াতে যশোর-কলারোয়া প্রবেশদ্বার বাউড়ী-বেলতলা নামক স্থানসহ বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মোতায়েন করে অযথা মানুষের চলাচলে ব্যারিকেড তৈরী করা হয়েছে।

উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নে পুলিশিং বিটের কর্মকর্তাসহ পুলিশ সদস্যরা লকডাউন বাস্তবায়নে ছিলেন তৎপর।

কলারোয়া পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ন স্থান পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী, পৌর মেয়র মাস্টার মনিরুজ্জামান বুলবুল, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আক্তার হোসেন, থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর খায়রুল কবির ও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(তদন্ত) জেল্লাল হোসেনসহ করোনা প্রতিরোধ কমিটির সদস্যবৃন্দ।

উদ্বেগজনকভাবে করোনা (ভারতীয় ভ্যারিয়েন্ট ডেল্টা) সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় চতুর্থ সপ্তাহে লকডাউনের ১ম দিনে উপজেলাবাসিকে মাক্স পরিধান, সামাজিক দূরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার আহবান জানান জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা, স্বাস্থ্য কর্মকর্তাসহ সচেতন মহল।

এ দিকে পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় কলেজ ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের এক শ্রেনীর অর্থলোভী শিক্ষকরা খুব গোপনীয়তার সাথে কোচিং বানিজ্যে লিপ্ত থাকায় এলাকার অভিভাবকসহ সচেতন মহল ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *