নিজস্ব প্রতিনিধি : কলারোয়া পৌর আ’লীগের সাধারন সম্পাদক ও জলাদ্ধতার কারনে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক শহিদুল ইসলামের আয়োজনে এক সাংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার(৭ আগষ্ট) বেলা ১ টার দিকে পৌরসভা মিলানয়তনে অনুষ্ঠিত সংবাদ
সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে পৌরসভাধীন মুরারীকাটি গ্রামের কৃষক শহিদুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘ ২১ বছর যাবৎ জলাবদ্ধতার সৃষ্টির কারনে মুরারীকাটি মাঠের ২ হাজার ৫শত’ বিঘার মতো জমিতে আমন ফসলের চাষ করা সম্ভব হয় না। সম্ভব না হওয়ার কারন হিসাবে তিনি কলারোয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও মুরারীকাটি গ্রামের স্থায়ী বাসিন্দা আমিনুল ইসলাম লাল্টুর অপরিকল্পিতভাবে মাছ চাষের জন্য ঘের সৃষ্টি ও ওই মাঠের দক্ষিণ দিকে ভেড়ী বাঁধের কারনে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকার কারন বলে জানান।
তিনি আরও বলেন, তার পরেও বিকল্পভাবে সেচের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করে প্রান্তিক কৃষকের আড়াই হাজার বিঘা আমন ধান চাষ করার উপযুক্ত করে তোলার লক্ষ্যে স্থানীয়দের নিয়ে একটি ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করা হয়।
কমিটির ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা বিল থেকে ড্রেণ নির্মান করে পাম্পের মাধ্যমে বেতনা নদীতে পানি অপসারন এবং মাঠের উত্তর পার্শ্বে পানি নিষ্কাশনের জন্য বিকল্প চাঁন মল্লিকের খাল সংস্কার করে পানি প্রবাহের সৃষ্টি করার জন্য জনস্বার্থে কালভাটের মুখে বাঁধ সৃষ্টি করা হয়।
এ ভাবে পানি নিষ্কাশনের ফলে দীর্ঘ ২১ বছর পর ওই ২ হাজার ৫শত’ বিঘা জমিতে কৃষকরা চাষযোগ্য করে তুলে এ বছর-২১’ আমন মৌসুমে স্ব-স্ব জমিতে প্রান্তিক কৃষকরা আমন ধান রোপন করেন।
কিন্তু ব্যবস্থাপনা কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক পানি নিষ্কাশনের ফলে জমি চাষযোগ্য হলেও উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর মাছের ঘেরের পানি শুকিয়ে যাওয়ায় তার প্ররোচনায়, পরিকল্পনা ও নির্দেশে উক্ত পার্শ্বেও পানি
প্রবাহের জন্য খাল উন্মুক্ত না করে কালভাটের মুখ খুলে দেওয়ায় আবারও ফসলি জমিতে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়ে আড়াই হাজার বিঘা জমির ধান নষ্ট হয়েছে।
তিনি ক্ষোভের সাথে বলেন কালভাটের মুখ খুলে দিয়ে পানি ছেড়ে দেয়ায় বিলে আমন ফসল চাষকৃত হাজার-হাজার কৃষকরা আজ একদিকে ক্ষতিগ্রস্থ, অন্যদিকে উপজেলা চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম লাল্টুর মাছের ঘের আজ পানিতে পরিপূর্ন থাকায় তার ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটেছে।
তিনি দু:খের সাথে আরও বলেন, আমিনুল ইসলাম লাল্টু ইতোমধ্যে সংবাদ সম্মেলন করে আমারসহ ব্যবস্থাপনা কমিটির প্রান্তিক কৃষকদের নাম করে ওই মাঠের জমিবিহীন কৃষক বা টাউটার বলে যে অসম্মান করেছেন আমরা
তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায়।
লিখিত বক্তব্য শেষে একাধিক ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের উপস্থিতিতে তিনি, বিষয়টি ইউএনও, ডিসি, বিভাগীয় কমিশনার, ডিজিএফআই, এনএসআই, ডিএসবি’র উর্দ্ধতন কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষন করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।