দীপক শেঠ, কলারোয়া : মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষ্যে কলারোয়ায় আশ্রয়ণ প্রকল্পের
আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর নির্মাণ কার্যক্রম পরিদর্শন শেষে উপকারভোগীদের সাথে কূশল বিনিময় করা হয়েছে।
শরিবার (১০ জুলাই) সকাল ১১ টা থেকে পৃথক সময়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) জুবায়ের হোসেন চৌধুরী হেলাতলা ইউনিয়নের দক্ষিণ দিগং, সোবাড়িয়া ইউনিয়নের রাজপুরসহ উপজেলার বিভিন্ন আশ্রয়ণ প্রকল্পের নির্মানধীণ ও নির্মিত ঘর পরিদর্শন করেন।
তিনি জানান, আশ্রয়ণের অধিকার, শেখ হাসিনার উপহার’। প্রকল্পটি প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের প্রকল্প।এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে কোনো ধরনের ক্রটিবিচ্যুতি, অনিয়ম, দুর্নীতি ও শৈথিল্যের ঘটনা যাতে না ঘটে সেজন্য চলমান কার্যক্রমসহ উপকারভোগীদের খোঁজখবর শেষে হস্তান্তরকৃত ঘর পরিদর্শন করা হয়েছে।
পরিদর্শন শেষে ইউএনও চলমান কাজসহ উপকারভোগীদের ঘরের গুনগত মান সম্পর্কে
সন্তোষ প্রকাশ করেন।
এ দিকে, গৃহহীনদের ঘর নির্মানে সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটির কর্মকর্তারা সকল কার্যক্রম পর্যবেক্ষণ ও পরিদর্শন করছেন বলে জানা যায়।
এ ব্যাপারে, প্রধানমন্ত্রীর উপহার পাওয়া গৃহের উপকারভোগী রাজপুরের অমেদ আলী ফকির, আব্বাস ও আক্তারুল ইসলাম জানান, আমরা প্রধান মন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে কৃতজ্ঞ। আমাদের স্বপ্নের বাড়ি পেয়ে আমার খুশি- আনন্দিত।
বাসগৃহের অবস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলে বলেন, দীর্ঘ কয়েকমাস যাবৎ বসবাস করার পরেও এখনও পর্যন্ত ঘরের কোন ত্রুটি দেখা দেয়নি। ঘরের দেয়ালে ফাঁটল, প্লাস্টার ধসে
(খোঁসে) পড়া, পিলার ভাঙ্গাসহ নির্মানে ব্যবহৃত মালামালের কোন ত্রুটি লক্ষ্য করা যায়নি।
তবে কিছু আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিচু এলাকায় হওয়ায় বৃষ্টি এলেই একটু জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে বলে জানা যায়।
উল্লেখ্য, কলারোয়া উপজেলায় এ পর্যন্ত (১ম ও ২য় পর্যায়ের ১ম ও ২য় ধাপে) জয়নগর,
হেলাতলা, সোনাবাড়িয়া, জালালাবাদসহ কয়েকটি ইউনিয়নে সরকারি বরাদ্দকৃত ১২০টি
ঘরের মধ্যে ৯৯টি ঘর আনুষ্ঠানিকভাবে উপকারভোগীদের মাঝে কাগজপত্রসহ হস্তান্তর করা হয়েছে। অবশিষ্ট ২১ টি ঘর নির্মাণধীন বলে জানা গেছে।
আশ্রয়ণ প্রকল্পের আওতায় ভূমিহীন ও গৃহহীনদের দুই কক্ষ বিশিষ্ঠ ঘর নির্মাণে প্রথম
পর্যায়ে সরকারি বরাদ্দ ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা ও দ্বিতীয় পর্যায়ের ঘর নির্মাণে ২ লাখ টাকা বরাদ্দ আছে বলে উপজেলা নির্বাহী অফিসার জুবায়ের হোসেন চৌধুরী জানান।