দীপক শেঠ,কলারোয়া : কলারোয়ায় কঠোর লকডাউনের দ্বিতীয় দিন বাস্তবায়নে মাঠে নেমেছে উপজেলা প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও সেনাবাহিনী। পৌর সদরসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করা হয়।
পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে ৩টি মামলায় ২ হাজার ৮শত টাকা জরিমানা করা হয়। কঠোর বিধিনিষেধ সফল করতে শনিবার (২৪ জুলাই) বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনকালে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করেন নবাগত উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমীন।
পৌর সদরের যুগিবাড়ি, কাজীরহাটসহ বিভিন্ন স্থানে সরকারি নির্দেশনা অমান্য করার অপরাধে কয়েকজনকে মোবাইল কোর্টে ২ হাজার ৮শত টাকা জরিমানা করা হয়। আদালত পরিচালনায় সহযোগীতা করেন বেঞ্চ সহকারী প্রনব কুমার সরকারসহ সেনাবহিনী,পুলিশ ও ব্যাটালিয়ন আনসার সদস্যবৃন্দ।
এ দিকে লকডাউনে সকাল ৯টা থেকে বেলা ৩ টা পর্যন্ত পৌর সদরসহ বিভিন্ন বাজারে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী কাঁচা বাজার, মাছের বাজার ও ফলের দোকান খোলা থাকলেও পরবর্তী সময়ে বন্ধ থাকতে দেখা গেছে। তবে নির্দেশিত সময়ে কয়েকটি মুদি দোকান, হোটেল, মিষ্টির দোকান, চায়ের দোকানের অংশিক অংশ খোলা থাকতে দেখা যায়।
এ দিকে, বস্ত্র বিপনী, পাদুকা ভবন, গার্মেন্টস, জুয়েলার্সের দোকানসহ অনান্য সকল ব্যবসায়ীক প্রতিষ্ঠান ছিলো বন্ধ। কলারোয়া মহাসড়ক ও অভ্যন্তরীন সড়কে অল্প সংখ্যক নসিমন, করিমন, ট্রলি, ইঞ্জিন ভ্যান,ইজি বাইক, মহেন্দ্র গাড়ি চলতে দেখা গেলেও গণপরিবহন চলতে দেখা যায়নি।
হাট-বাজার ও গুরুত্বপূর্ন স্থানে পুলিশের উপস্থিতি তেমন লক্ষণীয় নই, বলে স্থানীয়রা জানাই। উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আল আমীন’র নেতৃত্বে বিভিন্ন স্থান পরিদর্শনকালে জনসচেতনতায় তিনি বিনা প্রয়োজনে কাউকে বাইরে বের না হওয়ার আহবান জানিয়ে সকলকে মাস্ক পরিধানসহ সকল সরকারি বিধিনিষেধ ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।