স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সর্বস্তরে মিথ্যা অভিযোগ দায়ের, তঞ্চকমতে সংগৃহিত জাল কাগজ পত্র দাখিল পূর্বক মিথ্যাচার করা, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) সহ স্থানীয়, আঞ্চলিক ও জাতীয়, দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকায় মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে দলের ও নেতার পাশাপাশি জনপ্রিয় চেয়ারম্যান গাজী শওকত হোসেনের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্রের প্রতিকার প্রার্থনায় দল ও প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে বহুল বিতর্কিত স্বজল মুখার্জীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
দলের বিভিন্ন পর্যায়ের নেকাকর্মীদের পাশাপাশি অভিযোগ দায়ের করেছেন ধলবাড়িয়া ইউপির চেয়ারম্যান আলহাজ্ব গাজী শওকত হোসেন।
অভিযোগে তিনি বলেন- আমি ও আমার পরিবারের সকলেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুবিজুর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত এবং বাংলাদেশ আ’লীগের সক্রিয় কর্মী। পারিবারিক ধারাবাহিকতায় আমি এবং আমার বর্তমান পরিবারের সকল সদস্য সকলেই বঙ্গবন্ধুর আদর্শে অনুপ্রাণিত, জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এবং অঙ্গ সহযোগি সংগঠনের নিবেদীত প্রাণ কর্মী।
আমার পিতা গাজী খোরশেদ আলম, পিং-মরহুম গাজী জুম্মান আলী, ১০নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের পাঁচ বার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছিলেন। আমার পিতা চেয়ারম্যান পদে অধিষ্টিত থাকা অবস্থায় মৃত্যু বরণ করায়
পিতার শুন্য আসনে উপ- নির্বাচনে আমি বিপুল ভোটে নির্বাচিত হই এবং পর পর চার বার আমি ১০নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়ে জনকল্যানে কাজ করে চলেছি। বাংলাদেশ সরকারের সিদ্ধান্ত মোতাবেক, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশন ঘোষিত নির্দেশনায়, ২০১৬ সালে, ইউনিয়ন পরিষদে চেয়ারম্যান পদে দলীয় প্রতীকে নির্বাচন হওয়ার নৌকা প্রতিক নিয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করি।
এ সময়েও নৌকা প্রতিকের বিরোধিতা করেছিল ১০নং ধলবাড়িয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি হারাধন মুখার্জীর পুত্র স্বজল মুখার্জী। একপর্যায়ে দলীয় নেতৃবৃন্দের চাপে স্বজল মুখার্জী আমার সহিত নির্বাচনে সক্রিয়ভাবে কার্যক্রম করিয়া ছিলেন এবং আমি নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলাম। তখন আমাকে “রাজাকার পুত্র” আখ্যায়িত করেনি সে।
২০২১ সালের ইউপি নির্বাচনে আমি পূর্বের ন্যায় দলীয় মনোনয়ন চাই। স্বজল মুখার্জীও দলীয় মনোনয়ন প্রার্থনা করেন। মনোনয়ন বোর্ডের সিদ্ধান্ত মোতাবেক আমি মনোনয়ন প্রাপ্ত হই। স্বজল মুখার্জী মনোনয়ন না পেয়ে তিনি দলের আপীল কর্তৃপক্ষের নিকট আপিল করেন। আপিল কর্তৃপক্ষের সিদ্ধান্ত মোতাবেক ইতিপূর্বে আমাকে প্রদত্ত মনোনয়ন বাতিল ঘোষনা করে স্বজল মুখার্জীকে মনোমনয়ন প্রদান করেন।
পরবর্তীতে আমি জানতে পারি যে, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা যুদ্ধকালে পাক হানাদার বাহিনীকে সাহায্যকারী রাজাকারদের সাতক্ষীরা জেলার কালিগঞ্জ উপজেলার রাজাকার তালিকার ১৮নং ক্রমিকে উল্লেখিত খোরশেদ আলম, পিং-মৃত কেনা মিস্ত্রী, সাং-মৌতলা, থানা-কালিগঞ্জ, জেলা-সাতক্ষীরার নাম আমার পিতার নাম একই হওয়ার কারণে উক্ত রাজাকার তালিকার ছায়াকপি দলের আপিল বোর্ডে দাখিল করে রাজাকার পুত্রকে” নৌকা প্রতীক প্রদান করা হয়েছে মর্মে আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা, বানোয়াটী অভিযোগ উত্থাপন করে, তঞ্চকমতে সংগৃহিত জাল-জালিয়াতী কাগজপত্র দাখিল করিয়া, আমার মনোননয় পত্র বাতিল করানো হয়েছে।
এছাড়াও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম (ফেসবুক) আঞ্চলিক ও জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক সংবাদ পত্রে বিভিন্ন প্রকার মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে। সে নেতা, কর্মী, সমর্থকদের মধ্যে দলের রীতিনীতি সম্পর্কে বিরুপ মন্তব্য করে ইউনিয়ন, উপজেলা, জেলা ও কেন্দ্রীয় পর্যায়ের দলীয় ভাবমুর্তী বিনষ্ট করেছে।
তাছাড়া স্বজল মুখার্জী ইউপি নির্বাচন চলাকালে এলাকায় আমার ও আমার কর্মীদের উপর এবং স্থানীয় আওয়ামীলীগ দলীয় নেতাকর্মীদের উপর সীমাহীন জুলম ও নির্যাতন করেছে। আওয়ামীলীগ কর্মীদের বসতবাড়ী ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে বোমাবাজী পর্যন্ত সে করেছে। বর্তমানেও স্বজল মুখার্জী নানা প্রকার উষ্কানী ও সন্ত্রাসমুলক কার্য্যক্রম করে চলেছে।
এসকল কারণে বহুল বিতর্কিত স্বজল মুখার্জীর বিরুদ্ধে উপযুক্ত শাস্তি মুলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য আবেদন করিতেছি। এই স্বজল মুখার্জী এলাকায় উন্নয়ন মুলক কাজের নামে এমপির ডিও লেটার নিয়ে ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। যার তদন্ত করলে যথাযথ প্রমান মিলবে।