হাফিজুর রহমান শিমুল : মহামারী করোনাকালে মৃত্যুর মিছিল বড় হচ্ছে। প্রতিদিন সকাল সন্ধ্যায় কারও না কারও মৃত্যুর খবর আসছেই। মৃত্যু প্রত্যেকের জীবনের একটি অবধারিত এবং অলঙ্ঘনীয় ঘটনা। কিন্তু কোনো কোনো মৃত্যুভাগ্য সময়ের ও পরিবেশের প্রেক্ষাপটে বড় কঠিন, নির্মম ও অনির্বচনীয় হয়ে ওঠে।
করোনা কালে যারা মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছেন, করোনার কারণে তাদের মৃত্যু না হলেও, করোনারই পরিণতি পরিচয়ের আবর্তে তাদের দাফন-কাফন হচ্ছে। তাদের জানাজায় সবাই শামিল হতে পারছে না, পারছে না শোকসন্তপ্ত পরিবারের পাশে দাঁড়াতে, একটু সহানুভূতিও জানাতে। এমন এক কঠিন কর্কশ সময়ে আমরা হারাচ্ছি প্রিয়জন, আপনজনদের। ঠিক এমনই একসময়ে একজন আদর্শ শিক্ষকের মৃত্যু হয়েছে।
কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মুকুন্দপুর গ্রামের মৃত দাউদ আলী গাজীর পুত্র সকলের পরম শ্রদ্ধেয় শিক্ষাগুরু মাষ্টার মোহর আলী গাজী(৯০)। বার্ধক্য ও কিডনীসহ দুরারোগ্য ব্যাধির কারণে শুক্রবার (৯ জুলাই) বেলা ১২ টা ১৫ মিনিটে মৃত্যুবরণ করেন।( ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহী রাজিউন)।
মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, পুত্র, কন্যাসহ অসংখ্য আত্মিয় সজন ও গুনগ্রাহী রেখে গেছেন। শিক্ষাগুরু মাষ্টার মোহর আলী গাজীর নিজ বাড়ির আঙ্গিনায় শুক্রবার বিকাল সাড়ে পাঁচটায় জানাজার নামাজ শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন সম্পন্ন হয়েছে। জানাজায় আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশি, ছাত্র ছাত্রী, সহকর্মীবৃন্দসহ শতশত সুধীবৃন্দ অংশগ্রহন করেন। তার মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
তিনি কালিগঞ্জ উপজেলার মুকুন্দপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ছিলেন, বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি ও সদস্য ছিলেন। গত ৫ জুলাই-২০২১ তারিখে এই শিক্ষাগুরুর প্রথম সহধর্মিনী সকলকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গিয়েছিলেন।
শুক্রবার মসজিদে মসজিদে ছিল তার আত্মার মাগফেরাত কামনায় দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন। সেই মসজিদে মসজিদে এলার্ন দেওয়ায় হয়েছে শিক্ষাগুরু মাষ্টার মোহর আলী শুক্রবার বেলা ১২ টা ১৫ মিনিটে নিজ বাসগৃহে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন।