স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরার কালীগঞ্জের চম্পাফুলে ভূমিহীন পরিরিবারের যাতায়াতের রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণে ব্যার্থ হয়ে ইউপি চেয়ারম্যানসহ দফারফা চৌকিদারদের নামে মিথ্যাচারের মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বেলা ১২ টায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সামনে কালীগঞ্জের চম্পকফুল ইউনিয়নের শতাধিক ভূমিহীন ও সাধারণ মানুষ সাবেক চেয়ারম্যান এর বিরুদ্ধে এই মানববন্ধন পালন করে।
চম্পকফুল ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সভাপতি তপন কুমার গাইনের সভাপত্বে মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, আব্দুল গফফর, নারায়ণ চন্দর সরকার, জাকির হোসেন, আব্দুল লতিফ, সিরাজুল ইসলাম, শাহদাত হোসেন প্রমুখ।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন,কালিগঞ্জের চাম্পাফুলে ৫ টি ভূমিহীন পরিবারের দীর্ঘ প্রায় ২০ বছর যাতায়াতের রাস্তা দখল করে ঘর নির্মাণ শুরু করে একই এলাকার মৃত. মনিরুল ইসলামের স্ত্রী জাহানারা খাতুন। এতে ওই ৫ পরিবারের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ হওয়ার উপক্রম হয়ে পড়লে তারা প্রথমে চম্পকফুল ইউপি চেয়ারম্যান মোজাম গাইনের কাছে অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে ইউপি চেয়ারম্যান যাতায়াতের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে রাস্তা নির্মাণের নির্দেশ দেন।
চেয়ারম্যানের নির্দেশ উপেক্ষা করে সাবেক চেয়ারম্যান আব্দুল লতিফ মোড়ল, মেম্বার কালাম গাজী, আশরাফ আলী ও ৯ নং ওয়ার্ডের কার্ত্তিকের উস্কানিতে জাহানারা জোরপূর্বক রাস্তা নির্মাণ করে। ঘর নির্মাণ চালিয়ে যেতে থাকলে পানি উন্নয়ন বাের্ডের কর্মকর্তারা ৩১ আগস্ট উক্ত ঘর ভেঙে দেন । এতে ইউপি চেয়ারম্যান মােজাম পাইনের কোন সম্পৃক্ততা নেই । এছাড়া দফাদার ও চৌকিদারদের বিরুদ্ধে জাহানার অভিযােগটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, ভিত্তিহীন ।
বক্তারা বলেন,পানি উন্নয়ন বাের্ডের এস ও আব্দুল খালেক এবং জয়ন্ত দুজনেই অত্যান্ত সৎ কর্মকর্তা । তাদের বিরুদ্ধে এ ধরনের কোন অভিযােগ নেই । মূলত জাহানারা খাতুন পানি উন্নয়ন বাের্ডের জমি দখল করে ঘর নির্মাণ করেছে সেই কারণে তারা ঘর ভেঙে দিয়েছেন। জাহানারার কাছে তারা কেউ চাঁদা দাবি করেননি । ঘর ভেঙে দেওয়ায় জাহানারা ক্ষিপ্ত হয়ে এসব অপপ্রচার করে যাচ্ছেন।
বক্তারা আরাে বলেন, চেয়ারম্যান মােজাম গাইন কোন সরকারি সম্পত্তি দখল করেননি । উল্টো সাবেক চেয়ারম্যান লতিফ ও কালাম গাজী দুইজন মিলে বরাদহ স্লুইজ গটের দুই মুখ আটকে পানি বন্ধ করে ৩০ বিঘার খাস খাল যবর দখল করে মৎস্য ঘের পরিচালনা করে আসছে। এতে করে প্রতি বছর জলাবদ্ধতায় চরম ভােগান্তির শিকার হয় এলাকার হাজার হাজার মানুষ।
এছাড়া উজিরপুর বাজারে লতিফ মােড়ল সামসুরের দোকানের পাশে খাস জমি দখল করে ৩ টি দোকান নির্মাণ করে ভাড়া উত্তোলন করে যাচ্ছে। এছাড়া মেম্বর কালাম গাজী বারদহা হাটখােলার উপরে পানি উন্নয়ন বাের্ডের জাম লাল করে ভাড়া দেয় এবং জামায়াতের অফিস নির্মাণ করে দখলে রেখেছে। ৯ নং ওয়ার্ডের কার্তিক থালনায় প্রদীপের দোকানের পাশে খাস সম্পত্তি দখল করে দোকান নির্মাণ করে ভােগ করে যাচ্ছে।
সাবেক চয়ারম্যান লতিফ, মেম্বার কালাম গাজীর ইন্ধনে কার্ত্তিক এবং আশরাফ আলী অত্র ইউনিয়নে দালালী করে এলাকার মানুষের কাছ থেকে চাঁদাতুলে আত্মসাত করে। অথচ তারাই আবার অন্যদের বিরুদ্ধে আঙ্গুল উচিয়ে খাস সম্পত্তি দখলের মিথ্যা অভিযােগ তুলে হয়রানি করে। সামাজিকভাবে হেয় করার চক্রান্ত করে । মানববন্ধনে বক্তারা এর তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন ।