রাহাত রাজা, সাতক্ষীরা : কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় ৫৬ হাজার ৪০১ টি পশু প্রস্তুত করেছে খামারিরা। তবে এর মধ্যে বড় গরু পালন করে আলচনায় এসছে কয়েকটি খামারী, তার মধ্যে অন্যতম তালা উপজেলার নগরঘাটা উত্তরপাড়া গ্রামের আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস। প্রায় দুই যুগ ধরে গরু পালন করছেন তিনি। যা প্রতিবছর কোরবানি ঈদে বিক্রয় করে থাকেন।
এবছর তার খামারে ১০ টি গরু রয়েছে তবে এর মধ্যে সবচেয়ে বড় গরু রাজা বাবু। যেটি তিন বছর যাবত পালন করছেন তিনি। পরিবারের সকলেই অনেক যত্ন দিয়ে পালন করেছে রাজাবুবুকে। বিশাল আকৃতির এই রাজাবাবুর যত্নটাও একটু বেশি। খাওয়ানো গোসল করানো, সহ সকল বিষয়ে লক্ষ্য রাখতে হয়। ২৫ মন ওজনের রাজা বাবুকে দেখতে প্রতিদিনই বিভিন্ন জেলা থেকে মানুষ ভিড় জমাচ্ছে মাজেদ বিশ্বাসের বাড়িতে।
আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস বলেন তার খামারে রাজাবাবু সহ সকল গরু শাহিওয়াল জাতের। এ জাতের গরু দেখতে সুন্দর, ভারী দেহ এবং গরুর রোগবালাই খুবই কম হয়।
তিনি আরো বলেন, নামে যেমন রাজা বাবু স্বাস্থে ও রাজার মতই, প্রতিদিন রাজাবাবুর খাদ্যের খরচ হয় প্রতিদিন তিন থেকে চারশত টাকা । তবে ভালো দিক হলো রাজাবাবু পল, কুড়া, ভুষি, খোল, সবুজ ঘাষ, লতা পাতা খেতে বেশি পচ্ছন্দ করে।
বড় গরু পালন করা খুব কঠিন নয়। অভিজ্ঞ খামারিরা সহজেই এধরনের গরু পালন করতে পারে তবে বিক্রয় নিয়ে পড়ে যায় দুশ্চিন্তায়। বড় গরু যদি ভালো দামে বিক্রয় করা যায় তাহলে গরু পালনে আগ্রহী হবেন খামারীরা।
এদিকে, করোনার ভাইরাসের প্রভাবে গরু নিয়ে একটু দুশ্চিন্তায় পড়েছেন মাজেদ বিশ্বাসের পরিবার। করোনার কারনে মানুষ বড় গরু ক্রয় করছেনা বলে জানান তিনি। ইতিমধ্যে রাজাবাবুর দর উঠেছে ৫ লক্ষ টাকা তবে ৭ লক্ষ টাকায় বিক্রি
করার ইচ্ছে প্রকাশ করেন আব্দুল মাজেদ বিশ্বাস।