খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, দেশকে সমস্তক্ষেত্রে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা। তিনি তার পিতার পথ অনুসরণ করে নিজেকে জনসেবায় বিলিয়ে দিচ্ছেন। যার ধারবাহিকতায় দেশ আজ উন্নয়নের শিখরে। তিনি দেশের মানুষের কথা সব সময় ভাবেন।
তিনি বলেন, ১৯৭৪ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সাংবাদিকদের জন্য প্রথম ওয়েজবোর্ড গঠন করে দেন। তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও নিজের চিন্তায় সাংবাদিকদের বাস্তব অবস্থা উপলব্ধি করে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন করেছেন। যা থেকে ধারাবাহিকভাবে দলমত নির্বিশেষে অসুস্থ, অস্বচ্ছল সাংবাদিক ও মৃত সাংবাদিকদের পরিবারকে আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এটি নিঃসন্দেহে তাঁর একটি দুরদর্শী চিন্তার ফসল।
তিনি আরও বলেন, দলমতের ঊর্ধ্বে এসে সাংবাদিকদের নিরপেক্ষভাবে কাজ করা উচিত। দেশের উন্নয়নের জন্য ভালো ভালো সংবাদ পরিবেশন করা উচিত। তিনি বলেন, আমার কোনো কাজে ভুল থাকলে তাও ধরিয়ে দেন। গঠনমূলক সমালোচনা করুন। যাতে জনগণের কল্যাণ হয়, সেই সংবাদগুলো পরিবেশন করুন।
সিটি মেয়র বলেন, আমি ছাত্রজীবন থেকেই খুলনার রাজনীতির সাথে জড়িয়ে আছি। প্রথম থেকে অনেক সিনিয়র সাংবাদিকের সাথে আমার সুসম্পর্ক ছিলো। তারা আমাকে সবসময় উপদেশ ও পরামর্শ দিয়েছেন। আমি এখনো আপনাদের পরামর্শ চাই। খুলনাকে এগিয়ে নিতে সকলের সহযোগিতা চাই।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়ন (কেইউজে) এর আয়োজনে খুলনা প্রেসক্লাবের শহীদ হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃক অসুস্থ ও মৃত সাংবাদিকদের পরিবারের মাঝে আর্থিক চেক বিতরণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএফইউজে- বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি ওমর ফারুক, মহাসচিব দীপ আজাদ ও বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সুভাষ চন্দ বাদল।
কেইউজের সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক মো. সাঈয়েদুজ্জামান সম্রাটের পরিচালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম, কেইউজের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন মিন্টু, এস এম জাহিদ হোসেন, খুলনা প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও কেইউজের সাবেক সভাপতি মামুন রেজা, বিএফইউজের যুগ্ম মহাসচিব মো. হেদায়েৎ হোসেন মোল্লা।
এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন কেইউজের সাবেক সভাপতি ফারুক আহমেদ, সৈয়দ আব্দুল মতিন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক মো. শাহ আলম, বিএফইউজের নির্বাহী সদস্য কৌশিক দে ও মো. হুমায়ুন কবীর, কেইউজের সহ-সভাপতি মহেন্দ্রনাথ সেন, কোষাধ্যক্ষ অভিজিৎ পাল, দপ্তর সম্পাদক জয়নাল ফরাজী, প্রচার ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক নূর হাসান জনি, নির্বাহী সদস্য আনোয়ারুল ইসলাম কাজল, আল মাহমুদ প্রিন্স, বিমল সাহা,
সদস্য অরুণ সাহা, দেবব্রত রায়, বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মালেক, বাপ্পী খান, আলমগীর হান্নান, মো. জাহিদুল ইসলাম, প্রশান্ত বাছাড়, শেখ মো. সেলিম, তিতাস চক্রবর্তী, শেখ হেদায়েতুল্লাহ, শেখ কামরুল আহসান, সাঈদা আক্তার রিনি, নাজমা বেগম, রিতা রানী দাস, দিলীপ বর্মন, এস এম বাহাউদ্দিন, তুফান গাইন, খন্দকার কবিরুজ্জামান বাপ্পী, কাজী ফজলে রাব্বী শান্ত, শেখ জাহিদুল ইসলাম, রাজু সাহা বিপ্লব প্রমুখ। প্রেস বিজ্ঞপ্তি