পবিত্র বিশে সফর তথা হযরত ইমাম হুসাইন (আ)’র শাহাদাতের চল্লিশা বা চেহলাম বার্ষিকী। হযরত ইমাম হোসাইন (আ.)’র পবিত্র চেহলাম উপলক্ষে ২৭ আগস্ট মঙ্গলবার বিকাল ২টা ৩০ মিনিটে নগরীর আলতাপোল লেনস্থ আঞ্জুমান-এ-পাঞ্জাতানী ইমাম বাড়িতে খুলনা বিভাগীয় কর্মসূচী পালন করা হয়। কর্মসূচীর মধ্যে ছিল আলোচনা সভা এবং শোক ও মাতম মিছিল।
ইমামবাড়িতে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতা করেন ইসলামী শিক্ষা কেন্দ্রের অধ্যক্ষ হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ ইব্রাহীম খলিল রাজাভী। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, শহীদ স¤্রাট ইমাম হুসাইনের প্রতি মুসলমানদের অন্তরে প্রোথিত ভালবাসার উত্তাপ কখনও কমবে না বলে মহানবী (সা) তাঁর ভবিষ্যদ্বাণীতে উল্লেখ করেছিলেন। তাঁর শাহাদাতের আদর্শের চৌম্বকীয় আকর্ষণ দিনকে দিন বাড়ছে।
মানবজাতির ইতিহাসে ইমাম হুসাইন (আ)’র শাহাদাতের মত শোকাবহ কোন শাহাদাত নেই। তাই এ শাহাদাতের ঘটনা সময়ের সীমাকে পেরিয়ে অমরত্বের বৈশিষ্ট্য লাভ করেছে। স্বয়ং ইমাম হাসান (আ) ইমাম হুসাইনকে (আ) বলেছেন: ‘হে হুসাইন, তোমার শাহাদাতের দিনের মতো কোন শোকাবহ দিন নেই’।
প্রধান বক্তা আরও বলেন, নবী (সা) দৌহিত্র হযরত ইমাম হুসাইন (আ)’র পবিত্র শাহাদাতকে স্মরণ করা একটি ধর্মীয় দায়িত্ব। কেননা ইমাম হুসাইন (আ) ইসলাম ধর্ম রক্ষার জন্য নিজের জীবনকে উৎসর্গ করেছিলেন। সুতরাং ইমাম হোসাইন (আ)’র এই কালজ্বয়ী বিপ্লবকে স্মরণ করে আলোচনা অনুষ্ঠান ও শোক মিছিলের আয়োজন করে জুলুমের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়া ও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সচেতনতা সৃষ্টি করা একটি গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব বলে মনে করি।
বক্তৃতা করেন খুলনা তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ এফ এম নাজমুস সাউদ। এছাড়া বায়তুশরাফ মজদের খতীব মাওলনা ইব্রাহীম ফয়জুল্লাহ উপস্থিত ছিলে।
অন্যান্যের মধ্যে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন হুজ্জাতুল ইসলাম সৈয়দ আলী রেজা জায়দী, মাওলানা মোঃ আব্দুল লতিফ, মাওলানা সৈয়দ সাজ্জাদ হোসেন, মাওলানা আব্দুল কাইউম, মাওলানা রেজা আলী যায়দী, মাওলনা আলী আকবর, মাওলনা হাসিম আব্বাস, মাওলনা সাজিদুল ইসলাম, মাওলনা শহিদুল হক, মাওলনা মুজাফ্ফর, মাওলনা আবু সাঈদ, মাওলনা শাহদাৎ হোসেনসহ বাংলাদেশের বিশিষ্ট ওলামায়েকেরাম খুলনার বিভাগীয় কর্মসূচীতে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়া খুলনা বিভাগের বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে আগত বিভিন্ন কেন্দ্রের নেতৃবৃন্দ ও মুমিন ভাইয়েরা উপস্থিত ছিলেন। প্রেস বিজ্ঞপ্তি