এম এ আছাদ : ব্র্যাক বিগত ৫০ বছর ধরে নারীর অধিকার, জেন্ডার বৈষম্য দূরীকরণ, নারীর প্রতি সহিংসতা বিলোপ ও নারীর অমিত সম্ভাবনা বিকাশে কাজ করছে। যার প্রয়োজন সবচাইতে বেশি, তার পাশে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দাঁড়ানোই ব্র্যাকের উন্নয়ন দর্শনের ভিত্তি। তাই ব্র্যাক তার জন্মলগ্ন থেকে নারীকে সমাজ ও রাষ্ট্রের বিভিন্ন স্তরে সম্পৃক্ত করার লক্ষ্যে বিভিন্ন কর্মসূচি, কার্যক্রম ও মডেল গ্রহণ করেছে। পাশাপাশি বাংলাদেশের জাতীয় উন্নয়নেও সরকারের বৃহৎ সহযোগী হিসেবে কাজ করছে। উন্নয়নের কেন্দ্রবিন্দুতে নারীকে বিবেচনায় নিয়ে ব্র্যাক ব্র্যান্ডটিই গড়ে ওঠেছে নারীর ক্ষমতায়নকে কেন্দ্র করে।

“টেকসই আগামীর জন্য, জেন্ডার সমতাই আজ অগ্রগণ্য” এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী দিবস ২০২২ উপলক্ষ্যে ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসূচি (সেল্প) আজ ৮ মার্চ দেশব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। দেশব্যাপী কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল ১০ টায় খুলনা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে বর্নাাঢ্য রিক্সা র‌্যালী, সন্ধ্যা ৬.৩০ মিনিটে নারীর প্রতি সকল ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধে নগরীর গোলকমনি শিশুপার্কে গনস্বাক্ষর কর্মসুচি ও পথনাটকের আয়োজন করা হয়।

এ সময় র‌্যালীসহ অনান্য কর্মসুচিতে উপস্থিত ছিলেন মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদার, জেলা প্রশাসক, খুলনা, মোঃ ইউসুপ আলী, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক), খুলনা, হাসনাহেনা, উপপরিচালক মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তর, খুলনা, প্রশান্ত কুমার দে জোনাল ম্যানেজার, ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসুচি, মোঃ আবু সাঈদ, ডিভিশনাল ম্যানেজার, ব্র্যাক পার্টনারশীপ স্ট্রেনদেনিং ইউনিট, শিপ্রা বিশ্বাস, ব্র্যাক জেলা সমন্বয়কারি, খুলনা, নয়ন কুমার ঘোষ, জেলা ব্যাবস্থাপক, ব্র্যাক সামাজিক ক্ষমতায়ন ও আইনি সুরক্ষা কর্মসুচি, খুলনা, এরিয়া কোর্ডিনেটর (আরএইচআরএন) জিল্লুর রহমান। এছাড়া ব্র্যাক ও অনান্য সমমনা সংগঠনের প্রতিনিধি, প্রিন্ট ও ইলেকট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে র‌্যালী পরবর্তী সমাবেশে ব্র্যাক সেল্প কর্মসুচি কর্তৃক নির্ধারিত তিন জন সফল ও সাহসী নারীকে সম্মাননা প্রদান করা হয়। এই নারীরা নারীর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে সাহসী ভূমিকা রেখেছেন অথবা নিজেরা সহিংস জীবন থেকে বেরিয়ে এসে অর্থনৈতিকভাবে সফল হয়েছেন। (সফল নারীদের নাম – ১. নাসরিন সুলতানা (শিমুল) (সমাজকল্যানে অবদান),২. বেবী আক্তার (সফল নারী উদ্দ্যোক্তা) ৩. রোকসানা আক্তার রানী ( পরিবার কতৃক নির্যাতিত হয়েও হাল না ছাড়া নারী)

অনুষ্ঠানে আলোচকবৃন্দ ব্র্যাকের সফল ও সাহসী নারীদের সম্মাননা প্রদানের উদ্যোগকে স্বাগত জানিয়ে বলেন, নানামুখী কাজের মাধ্যমে বর্তমানে নারীরা সমাজে ও দেশের উন্নয়নে গুরুত্ত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন। কর্মক্ষেত্রসহ সমাজের সকল ক্ষেত্রে নারীর এই সাহসী ভূমিকাকে স্বীকৃতি প্রদানের মাধ্যমে সামগ্রিকভাবে নারীর জয়যাত্রাকে অব্যাহত রাখা দেশের সামগ্রিক উন্নয়নের মূল চাবিকাঠি। আলোচকবৃন্দ টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সকল ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের সমতার উপর গুরুত্ব আরোপ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *