খুলনা, ১৫ ভাদ্র (৩০ আগস্ট) : খুলনায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষ্যে আজ (সোমবার) দুপুরে জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আলোচনা সভা ও পুরস্কার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়। খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় সিটি মেয়র বলেন, স্বাধীনতার পরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭২ সালের এক জনসভায় ঘোষণা দিয়েছিলেন মাছ হবে দ্বিতীয় প্রধান বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনকারী সম্পদ। তারই ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধুর কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মৎস্য সম্পদের ওপর বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন।
জাতির পিতা সারা জীবন মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন। তাঁর জন্য আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। তিনি বলেন, বাংলাদেশে দিন দিন মাছের চাহিদা যেমন বৃদ্ধি পাচ্ছে, তেমনি মাছের উৎপাদনও বেড়েছে। উন্নত প্রযুক্তির মাধ্যমে মাছ চাষ করলে বেশি লাভবান হওয়া সম্ভব।
পৃথিবীতে মাছ উৎপাদনে বাংলাদেশ ৪র্থ স্থান অর্জন করছে যা মৎস্য খাতের উন্নয়নে একটি অভূতপূর্ব সাফল্য। গুণগতমান নিশ্চিত করে মাছ উৎপাদন ও পুশ থেকে বিরত থাকতে মেয়র মৎস্য সেক্টরের সাথে জড়িত সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানান।
খুলনার জেলা প্রশাসক মোঃ মনিরুজ্জামান তালুকদারের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ ইউসুপ আলী, খুলনা মৎস্য অধিদপ্তরের উপপরিচালক নারায়ন চন্দ্র দাস, খুলনা বিশ^বিদ্যালয় এফ. এম. আর. টি ডিসিপ্লিনের প্রফেসর গোলাম সরওয়ার মিঠু ও বাংলাদেশ ফ্রোজেন ফুড এক্সপোর্টাস আ্যসোসিয়েশনের সহসভাপতি এস হুমায়ুন কবির। স্বাগত জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা জয়দেব পাল।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন মৎস্য চাষি সফিকুর রহমান পলাশ, চিংড়ি চাষি আবুল হোসেন ও ফোয়াব সভাপতি মোল্লা শামসুর রহমান শাহীন।
সভায় জানানো হয়, করোনায় এবছর সারা বাংলাদেশে মৎস্য চাষিদের একশত কোটি টাকার অনুদান এবং খুলনা জেলায় নয় হাজার আটশত ৫৮ জন মৎস্য চাষিকে ১৪ কোটি ২০ লাখ ১৩ হাজার টাকার অনুদান দেওয়া হয়েছে।
অনুষ্ঠানে সফল মৎস্য চাষি, ব্যক্তি, উদ্যোক্তা, প্রতিষ্ঠান, উৎপাদনকারী, রপ্তানিকারক, ও সংগঠককে ক্রেস্ট ও সনদপত্র পুরস্কার প্রদান করা হয়।
অনুষ্ঠানে এবছর মাছ চাষে সফল মৎস্য চাষিরা হলেন খুলনার দাকোপের মোঃ আবুল হোসেন, তেরখাদায় সফিকুর রহমান পলাশ, ডুমুরিয়ায় সমর কুমার দাশ, বটিয়াঘাটায় পঞ্চানন গাইন ও কয়রার সরদার শাহানুর আলম।
পোনা উৎপাদনকারী মধ্যে ফুলতলার মোঃ জাহিদ হোসেন ও দিঘলিয়ার মোঃ আতিকুল ইসলাম। রপ্তানিকারকদের মধ্যে দাকোপের বিএম মনিরুল ইসলাম, রূপসা খুলনার ফ্রোজেন ফুডস লিঃ, রূপসার ফ্রেশ সী ফুডস লিঃ, অর্গানিক শ্রীম্প সী ফুডস লিঃ, এটলাস সী ফুডস লিঃ, শিরোমনির জয় ফিড লিঃ এবং সংগঠক মোঃ শামসুর রহমান শাহীন।