১৭ মার্চ ১৯২০। বাঙ্গালী জাতির ইতিহাসে এক অবিস্মরনীয় দিন। বায়ান্নোর ভাষা আন্দোলনের অকুতোভয় বীর সৈনিক, বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতার স্থপতি, বাঙালী জাতির আলোর দিশারী, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালী, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবস-২০২১। যার হাত ধরেই সূচনা হয় বিজয়ের। দিবসটি উপলক্ষ্যে খুলনা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুকৃবি) পক্ষ থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী ক্যাম্পাসে বেলুন উড্ডয়ন, বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন, সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা এবং দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে আলাদা আলাদা ভাবে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) ডাঃ খন্দকার মাজহারুল আনোয়ার (শাহাজান), বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সংগঠন নীল দলের পক্ষ থেকে আহবায়ক ডাঃ মোঃ আশিকুল আলম ও সদস্য সচিব ড. এম এ হান্নান, বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের পক্ষ থেকেও শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করা হয়।
বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন শেষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর ১০১তম জন্মবার্ষিকী ও জাতীয় শিশু দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে স্বাধীন বাংলাদেশের মহান স্থপতি ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, জাতীয় চার নেতা, বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধুসহ ভাষা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে নিহত সকল শহীদদের আত্মার শান্তি কামনা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মোঃ শহীদুর রহমান খান বলেন, জাতির পিতার স্বপ্ন ছিল বাঙ্গালী জাতিকে জ্ঞান-বিজ্ঞান, প্রজ্ঞায়, শক্তি-সাহসে পূর্ণাঙ্গ জাতি হিসেবে বিশ্বের দরবারে প্রতিষ্ঠিত করার।
এরই প্রয়াসে নিজের আরাম-আয়েশ, সুযোগ-সুবিধার কথা না ভেবে নিজেকে বিলিয়ে দিয়েছেন দেশ ও জাতির কল্যানে। দেশের মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠায় তিনি ছিলেন অগ্রজ এবং নিপীড়িত মানুষের মুক্তির প্রথপ্রদর্শক। সোনার বাংলা বিনির্মাণে বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল কৃষি ও শিল্পের বিপ্লব, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান, দারিদ্র্য বিমোচনে সকল প্রতিশ্রুতির বাস্তবায়ন। এরই ধারাবহিকতায় কৃষি ব্যবস্থায় গতিময়তা আনয়নের লক্ষ্যে ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারী তিনি কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণীর মর্যাদা প্রদান করেন। তাঁর এই ঐতিহাসিক ঘোষনার ফলে দেশের সার্বিক কৃষি উৎপাদন সহ কৃষিশিক্ষা ও গবেষণায় ব্যাপক গতিশীলতা সঞ্চারিত হয়।
তিনি আরও বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের কালরাত্রিতে সেনাবাহিনীর একদল পথভ্রষ্ট বিশ্বাসঘাতক, সপরিবারে হত্যা করে বঙ্গবন্ধুকে, হত্যা করে এই দেশের অগ্রগতি-উন্নয়নকে। কিন্তু এক মুজিব থেকে বাংলার ঘরে ঘরে জন্ম হয়েছে কোটি কোটি মুজিবের যারা বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ায় অঙ্গীকার বদ্ধ। বঙ্গবন্ধুর দেখানো স্বপ্ন বাস্তবায়নের জন্য নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন তারই সুযোগ্য কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, উন্নয়নের রূপকার, মমতাময়ী মা জননেত্রী শেখ হাসিনা, বাংলদেশকে নিয়ে গেছেন উন্নয়নশীল দেশের কাতারে।
জাতির পিতার কাছে আমাদের অঙ্গীকার, তাঁর স্বপ্নের সোনার বাংলা আমরা গড়বোই, ইনশাআল্লাহ। আমরা জেগে রইবো তাঁর আদর্শ বুকে লালন করে। তাঁর বাংলাদেশ অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে, এগিয়ে যাবে। স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তীর ও জাতির পিতার জন্ম শতবাষির্কীতে দেশ, গণতন্ত্র ও সরকারবিরোধী সকল ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের চলমান উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এই মাহেন্দ্রক্ষণে সকলকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করার উদাত্ত আহবান জানাই।(প্রেস বিজ্ঞপ্তি)