খুলনা, অগ্রহায়ণ ১৯ (০৪ ডিসেম্বর) : জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, সমাবেশ, বর্ণাঢ্য র্যালি, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে আজ (রবিবার) বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের ৫২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপিত হয়। এ উপলক্ষ্যে সকালে বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র প্রাঙ্গণে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনার বিভাগীয় কমিশনার মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় বিভাগীয় কমিশনার বলেন, বাংলাদেশ বেতার এ দেশের সুপ্রাচীন ও বৃহত্তম শক্তিশালী গণমাধ্যম। সময়ের পরিক্রমায় তথ্যপ্রযুক্তির এ যুগে বেতারের কদর এতটুকুও কমেনি বরং শ্রোতার সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বেতারের সকল অনুষ্ঠান মানুষ মনযোগ দিয়ে শোনে। বেতারের মাধ্যমেই পৃথিবীর দুর্গম স্থানের শ্রোতার কাছে তথ্য পৌঁছানো সম্ভব। বাংলাদেশ বেতার সূচনালগ্ন থেকে দেশ, সমাজ ও সংস্কৃতির বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছেন।
মহান মুক্তিযুদ্ধকালীন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের বলিষ্ঠ ভূমিকায় মুক্তিযোদ্ধারা উদ্বুদ্ধ ও উৎসাহিত হয়েছে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ প্রথমে এই বেতারের মাধ্যমে প্রচার করা হয়। জাতির পিতার এই ভাষণ মুক্তিযুদ্ধের সময় দেশের মানুষকে একত্রিত করেছিলো। সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে বেতারকে আরো বলিষ্ঠ ভূমিকা রাখতে হবে।
বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্রের আঞ্চলিক পরিচালক নিতাই কুমার ভট্টাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ক্রাইম) মোঃ সাজিদ হোসেন। স্বাগত জানান উপ-বার্তা নিয়ন্ত্রক মোঃ নুরুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তৃতা করেন খুলনা বেতারের আঞ্চলিক প্রকৌশলী তাজুন নিহার আক্তার। স্মৃতিচারণ করেন সাবেক আঞ্চলিক প্রকৌশলী কাজী হামিদুল ইসলাম, অধ্যাপক সুশান্ত সরকার, নাট্য শিল্পী মোখলেসুর রহমান বাবলু, সংগীত শিল্পী শেখ মোঃ আব্দুস ছালাম প্রমুখ।
এসময় খুলনা আঞ্চলিক তথ্য অফিসের উপপ্রধান তথ্য অফিসার এ এস এম কবীর হোসেন, পিআইডি ও বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ শিল্পী-কলাকুশলীরা উপস্থিত ছিলেন। পরে বেতারের শিল্পীরা মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করেন। উল্লেখ্য, বাংলাদেশ বেতার খুলনা কেন্দ্র ১৯৭০ সালের ৪ ডিসেম্বর নগরীর গল্লামারী এলাকায় যাত্রা শুরু করে।
এর আগে খুলনা বেতার প্রাঙ্গণ থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালি শুরু হয়ে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। র্যালিতে বেতারের কর্মকর্তা-কর্মচারী, শিল্পী, কলাকুশলীসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নেন।