অনলাইন ডেস্ক : দেশে করোনা সংক্রমণের দ্বিতীয় ঢেউয়ে মৃত্যু ও সংক্রমণের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়ে আরও ৬৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৮৯১ জনে।
একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৬ হাজার ২৮ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৬ লাখ ৯৭ হাজার ৯৮৫ জন।
মঙ্গলবার বিকেলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (পরিকল্পনা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফ্লোরা স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষা হয়েছে ৩২ হাজার ৯৫৫ জনের। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ। ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৫৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৮৫ হাজার ৯৬৬ জন।
মৃত ৬৯ জনের মধ্যে ৪৩ জন পুরুষ ও ২৬ জন নারী। এর মধ্য হাসপাতালে ৬৩ জন ও বাসায় পাঁচজন মারা যান। একজনকে হাসপাতালে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বয়স ভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা যায়, মৃত ৬৯ জনের মধ্যে ত্রিশোর্ধ্ব তিনজন, চল্লিশোর্ধ্ব সাতজন, পঞ্চাশোর্ধ্ব ২০ জন এবং ষাটোর্ধ্ব ৩৯ জন রয়েছেন।
৬৯ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগে ৪১ জন, চট্টগ্রামে ১৩ জন, রাজশাহীতে ৩ জন, খুলনায় ৩ জন, বরিশালে ৩ জন, সিলেটে ২ জন, রংপুরে ৩ জন ও ময়মনসিংহ বিভাগে ১ জনের মৃত্যু হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনা শনাক্তের কথা জানায় সরকার। গত বছরের মে মাসের মাঝামাঝি থেকে সংক্রমণ বাড়তে শুরু করে। আগস্টের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত শনাক্তের হার ২০ শতাংশের ওপরে ছিল। এরপর থেকে শনাক্তের হার কমতে শুরু করে।
গত জুন থেকে আগস্ট- এই তিন মাস করোনার সংক্রমণ ছিল তীব্র। মাঝে নভেম্বর-ডিসেম্বরে কিছুটা বাড়লেও বাকি সময় সংক্রমণ নিম্নমুখী ছিল। এ বছর মার্চে শুরু হয়েছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ। প্রথম ঢেউয়ের চেয়ে এবার সংক্রমণ বেশি তীব্র। মধ্যে কয়েক মাস ধরে শনাক্তের চেয়ে সুস্থ বেশি হওয়ায় দেশে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা কমে আসছিল। কিন্তু মার্চ থেকে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যাও আবার বাড়তে শুরু করেছে।
কোনো দেশে সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আছে কি না, তা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ঠিক করা কিছু নির্দেশক থেকে বোঝা যায়। তার একটি হলো রোগী শনাক্তের হার। টানা দুই সপ্তাহের বেশি রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়।
এ বছর ফেব্রুয়ারির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত শনাক্তের হার ৩ শতাংশের নিচে ছিল। দুই মাস পর গত ১০ মার্চ দৈনিক শনাক্ত আবার হাজার ছাড়ায়। এরপর দৈনিক শনাক্ত বাড়ছেই।