অনলাইন ডেস্ক : প্রথম দিনটি দারুণভাবে শেষ করেছিল বাংলাদেশ। দ্বিতীয় দিনটি কাটলো আক্ষেপ আর হতাশায়। লিটন দাস সেঞ্চুরি বড় করতে পারেননি। কাছে গিয়েও সেঞ্চুরি পাননি মুশফিকুর রহিম। বোলিং ইনিংসে পাকিস্তানের উইকেট পড়েনি রিভিউ না নেয়ার ভুলে। সুযোগে অবিচ্ছিন্ন থাকা ওপেনিং জুটি সফরকারীদের দেখাচ্ছে বড় সংগ্রহের আশা।

চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ বিনা উইকেটে ১৪৫। আসাদ শফিক ৯৩ ও আব্দুল্লাহ শফিক ৫২ রানে অপরাজিত আছেন। তারা ব্যাট করেছেন ৫৭ ওভার।

জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে দিনের প্রথম সেশনে ৬ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ গুটিয়ে যায় ৩৩০ রানে। অথচ আগের দিন যে অবস্থায় (২৫৩/৪) ছিল দল তাতে চারশ পেরিয়ে যাওয়া ছিল প্রত্যাশিত।

বাংলাদেশের ব্যাটিং ভালো হয়নি শুরু ও শেষে। তাতে বড় হয়নি সংগ্রহ। মাঝারি পুঁজি নিয়ে বোলিংয়ের শুরুতে দুই পেসার আবু জায়েদ রাহি ও ইবাদত হোসেন ছিলেন নির্বিষ। অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম বোলিংয়ে এসে সুযোগ তৈরি করলেও অধিনায়ক মুমিনুল হক রিভিউ না নিয়ে শফিককে দেখিয়েছেন উইকেটে আঁকড়ে থাকার পথ।

তাইজুলের বল একটু ভেতরে ঢুকে লাগে শফিকের প‍্যাডে, তারপর পেছনে থাকা ব্যাটে। তাতে জোরাল আবেদনও করেন ফিল্ডাররা। আম্পায়ার সাড়া না দেয়ায় রিভিউ নেয়ার উপলক্ষ তৈরি হয়েছিল। আত্মবিশ্বাসী ছিলেন বোলার তাইজুল। কিন্তু সাহস করে রিভিউ নেননি অধিনায়ক। পরে টিভি রিপ্লেতে দেখা গেছে বল আগে লাগে প‍্যাডে। রিভিউ নিলে ৯ রানে আউট হতেন শফিক।

দ্বিতীয় দিনের প্রথম সেশনে ৬ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। যোগ হয় মাত্র ৭৭ রান। ৪ উইকেট হারিয়ে ২৫৩ রানে প্রথমদিন শেষ করেছিল স্বাগতিকরা। লিটন ও মুশফিক অপরাজিত থেকে দিন শেষ করায় আশা ছিল বড় সংগ্রহের। হাসান আলির পেস তোপে তিনশ পেরিয়ে থামে প্রথম ইনিংস।

হাসান নিয়েছেন ৫ উইকেট। প্রথমদিন একটি উইকেট নেয়া পেসারের শনিবারে শিকার চার ব্যাটার। শেষে মেহেদী হাসান মিরাজ ব্যাটিং ঝলক দেখাতে না পারলে আরও আগেই থেমে যেতে হতো বাংলাদেশকে। ৬৮ বলে ৩৮ রানে অপরাজিত থাকেন ধীরে ধীরে টেস্টে অলরাউন্ডার হয়ে ওঠা অফস্পিনার। টেলএন্ডার ব্যাটারদের সঙ্গ না পেয়ে ইনিংসটা আরও বড় করতে পারেননি।

স্বাগতিকরা শেষের দুই উইকেট হারায় পরপর দুই বলে। পরের ইনিংসে তাই হ্যাটট্রিকের অপেক্ষায় থাকবেন হাসান।

সকালে সেঞ্চুরির আশা জাগিয়ে ৯১ রানে থামে মুশফিকুর রহিমের ইনিংস। ফাহিম আশরাফের বলে উইকেটরক্ষকের গ্লাভসে ক্যাচ দেন মি. ডিপেন্ডেবল। রিভিউ নিয়ে কাজ হয়নি। সেঞ্চুরির সুযোগ হারিয়ে ড্রেসিংরুমে ফিরতে হয়েছে হতাশা নিয়ে।

আগের দিন ৮২ রানে অপরাজিত ছিলেন মুশফিক। চট্টগ্রামের টেস্টের দ্বিতীয় দিন উইকেটে কাটান সোয়া এক ঘণ্টা। যোগ করেন ৯ রান।

মুশফিকের আগেই সাজঘরে ফিরে যান লিটন ও ইয়াসির আলি। দুজনই হাসানের বলে আউট হন। সেঞ্চুরির পর বেশিদূর যেতে পারেননি লিটন। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে আউট হন আর কেবল ১ রান যোগ করে। ১১৪ রানে থামে ইনিংস। অভিষিক্ত ইয়াসির নেমে ৪ রান করে বোল্ড হন।

মিরাজকে ভালো সঙ্গ দিচ্ছিলেন তাইজুল ইসলাম। অষ্টম উইকেট জুটিতে তারা যোগ করেন ৩০ রান। তাইজুল ১১ রান করে ফেরার পর মিরাজ ছিলেন দ্রুত রান তোলার চেষ্টায়। মারেন ৬টি বাউন্ডারি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *