বিনোদন ডেস্ক : বনানীতে মায়ের কবরে চিরঘুমে শায়িত হলেন অভিনেতা আব্দুল কাদের। এর আগে শিল্পকলা একাডেমিতে তার মরদেহে শেষ শ্রদ্ধা জানান সর্বস্তরের মানুষ। তারা বলেন, মঞ্চে-টিভি নাটকে নিজের চরিত্রগুলোতে বেঁচে থাকবেন এই অভিনেতা।
অনেকের কাছে ‘বদি’; কারো কাছে ‘দুলাভাই’, এই প্রজন্ম তাকে দেখেছে ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ইত্যাদির মামা চরিত্রে। বাংলাদেশের টেলিভিশনে প্রচারিত ৯০ দশকের অন্যতম জনপ্রিয় নাটক কোথাও কেউ নেই, আজ রোববার বা নক্ষত্রের রাত তার হাস্যরসাত্মক অভিনয় জয় করে কোটি মানুষের মন। অনন্য মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন বিজ্ঞাপন ও চলচ্চিত্রে।
মুন্সীগঞ্জের টঙ্গীবাড়ির সোনারংয়ে ১৯৫১ সালে জন্মগ্রহণ করেন আব্দুল কাদের। ঢাকা কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগ থেকে অনার্স ও মাস্টার্স করেন, তিনি। শিক্ষকতা করেন, লৌহজং এবং সিংগাইর কলেজে। বিজ্ঞাপনী সংস্থা বিটপী হয়ে ১৯৭৯ সালে যোগ দেন জুতা প্রস্তুতকারক আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠান বাটায়। এখানে একনাগাড়ে ৩৫ বছর কাজ করেছেন তিনি।
তবে নেশা ছিল অভিনয়। যাতে মঞ্চে ওঠেন রবীন্দ্রনাথের ডাকঘর নাটকের অমল চরিত্র দিয়ে। ১৯৭৩ সাল থেকে থিয়েটার নাট্যগোষ্ঠীর সদস্য তিনি। যাতে ৩০টি প্রযোজনায় হাজারের বেশি প্রদর্শনীতে অভিনয় করেন আব্দুল কাদের। ৭২ এ টিভি নাটক ও ৭৩ হাতেখড়ি হয় রেডিও নাটকে। দুই হাজারের বেশি টিভি নাটকে বিভিন্ন চরিত্রে দেখা গেছে তাকে।
করোনার মহামারির ভেতরে তার শরীরে বাসা বেঁধেছিল দুরারোগ্য ক্যান্সার। চিকিৎসায় গিয়েছিলেন ভারতের চেন্নাইতে। কিন্তু কেমোথেরাপির অনুকূল ছিল না শরীরটা। গত ২০ ডিসেম্বর দেশে ফিরে ভর্তি হন হাসপাতালে। সেখান থেকে আর ফেরা হলো না সদা হাস্যোজ্জ্বল এই মানুষটির। ওপারে ভালো থাকবেন প্রিয় আব্দুল কাদের।