চ্যানেল আইয়ের ২৩ বছরে পদার্পণকে সামনে রেখে এক অভিনন্দন বার্তায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন: চ্যানেল আই-এর ২৩ বছরে পদার্পণ উপলক্ষে চ্যানেলটির পরিচালনা পর্ষদ, সাংবাদিক, কলাকুশলী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ সকলকে আমি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।
আওয়ামী লীগ সরকার সবসময়ই দেশে গণমাধ্যমের বিকাশে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে। ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদে আমরাই দেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চালুর অনুমোদন দিই।
আমরা তথ্য অধিকার আইন প্রণয়ন ও তথ্য কমিশন প্রতিষ্ঠা করেছি। জাতীয় সম্প্রচার নীতিমালা ২০১৪ প্রণয়ন করা হয়েছে। বেসরকারিখাতে ৪৪টি টেলিভিশন, ২৮টি এমএফ রেডিও এবং ৩২টি কমিউনিটি রেডিও চ্যানেলের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
আমরা সাংবাদিকদের কল্যাণে ‘বাংলাদেশ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আইন ২০১৪’ প্রণয়ন করেছি। আমাদের এ সকল পদক্ষেপের ফলে দেশের গণমাধ্যম এখন পূর্ণ স্বাধীনতা ভোগ করছে।
২০১৮ সালের ১১ মে বাঙালি জাতির জন্য একটি স্মরণীয় দিন, এদিনে আমরা মহাকাশে ‘বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১’ উৎক্ষেপণ করেছি, যার ফলে দেশে টেলিভিশন সম্প্রচারের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হয়েছে। বর্তমানে দেশের সব চ্যানেল বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ এর মাধ্যমে পরিচালনা করছে।
আমরা মহাকাশে দ্বিতীয় স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। প্রশিক্ষিত মিডিয়াকর্মী সৃষ্টি এবং এক্ষেত্রে গবেষণার জন্য আমরা ‘বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন বিল (সংশোধন), ২০১৯’ সংসদে পাশ করেছি।
তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে টেলিভিশনকে শুধু বিনোদনের মাধ্যম হিসেবে ভূমিকা রাখলে চলবে না। করোনা সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে প্রয়োজনীয় অনুষ্ঠান ও সচেতনতামূলক প্রচার-প্রচারণা চালাতে হবে।
বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও অনুষ্ঠান পরিবেশনের মাধ্যমে দেশের মানুষের উন্নত মনন গঠনে এবং জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসসহ নানা অপতৎপরতা দমনে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে অবদান রাখতে হবে। আমরা বাংলাদেশকে-২০২১ সালের মধ্যে একটি মধ্যম আয়ের দেশ এবং ২০৪১ সালের আগেই উন্নত দেশে পরিণত করব ইনশাআল্লাহ।
২০২০ সাল ছিল আমাদের জন্য একটি তাৎপর্যপূর্ণ বছর। আমরা জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ‘মুজিববর্ষ’ উদযাপন করেছি। এই মহান নেতার জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আমরা বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করি।
তবে প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসের মহামারীর কারণে আমরা পরিকল্পনামাফিক অনুষ্ঠানসমূহ উদযাপন করতে পারিনি। জনগণের সার্বিক কল্যাণের কথা বিবেচনা করে আমরা জনসমাগম হয় এমন অনুষ্ঠান স্থগিত করেছি। টেলিভিশন, বেতার এবং ডিজিটাল মাধ্যমে কিছু কিছু অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়েছে।
আমি আশা করি, চ্যানেল আই বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ ও রুচিশীল অনুষ্ঠান প্রচারের মাধ্যমে আবহমান বাঙালি সংস্কৃতি, কৃষ্টি, ঐতিহ্য ও মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সমুন্নত রেখে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ‘সোনার বাংলাদেশ’ বিনির্মাণে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখবে।
আমি চ্যানেল আই-এর উত্তরোত্তর সমৃদ্ধি কামনা করছি।