চট্টগ্রাম, ১৮ অগ্রহায়ণ, (৩ ডিসেম্বর) : তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এমপি বলেন, আপনারা জানেন যে, এখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু জনসভা করেছেন এবং এখানে বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও জনসভা করেছেন। প্রধানমন্ত্রীর ৪ তারিখের জনসভা উপলক্ষ্যে সমস্ত চট্টগ্রাম জুড়ে ব্যপক সাড়া জেগেছে। আমরা ধারনা করছি জনসভায় মাঠে যা মানুষ থাকবে তার আট-দশগুন থাকবে মাঠের বাইরে।
আজ ৩ ডিসেম্বর জনসভা উপলক্ষ্যে পলোগ্রাউন্ড মাঠ পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
এসময় চট্টগ্রাম দক্ষিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহম্মদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন, উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এম এ সালাম ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমান, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক মফিজুর রহমান, চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যন এ টি এম পেয়ারুল ইসলামসহ অসংখ্য দলীয় নেতাকর্মী এবং প্রেস ও ইলেক্ট্রোনিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নিরাপত্তার কড়াকড়ির কারনে নেতাকর্মীদের কোন সমস্যা হবে কিনা এমন প্রশ্নের উত্তরে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী বলেন, কোন সমস্যা হবে না, কারন মাঠের বিরাট অংশ উন্মুত্ত থাকবে, শুধুমাত্র মঞ্চের কাছাকাছি জায়গায় যারা বসবেন বা মঞ্চে যারা বসবেন তাদেরকে নিরাপত্তা বেষ্টনী পার হয়ে যেতে হবে।
জনসভার মধ্যদিয়ে আওয়ামীলীগ জনসাধারনকে কি মেসেজ দিতে চায় এমন প্রশ্নের উত্তরে মন্ত্রী বলেন, আওয়ামীলীগ হল গণমানুষের দল, আমরা জনগনের জন্যই কাজ করি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ১৪ বছরে দেশকে নতুন উচ্চতায় পৌঁছে দিয়েছেন। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্বের ফলে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হয়েছে, দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে, মানুষের মাথাপিছু আয় ভারতকেও ছাড়িয়ে গেছে। আমরা যেহেতু জনগনের রায় নিয়ে সরকার গঠন করেছি, আমরা দেশকে পিছনে নিয়ে যেতে পারি না, জনগনের সামনে দাড়ানো আমাদের কর্তব্য।
এসময় মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপির ¯েøাগান হলো ‘‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ”। অর্থাৎ তারা চায় বাংলাদেশকে আবার বাংলা ভাইয়ের সময়ে নিয়ে যেতে, দেশে হাওয়া ভবন সৃষ্টি করতে, ৫০০ জায়গায় বোমা ফাটাতে এবং দেশকে দূর্নীতিতে পাঁচবার চ্যাম্পিয়ন করতে। এই জঙ্গিগোষ্ঠী ও স্বাধীনতা বিরোধী অপশক্তির প্রধান পৃষ্ঠপোষক বিএনপি। সুতরাং তাদের হাতে আমরা দেশকে তুলে দিতে পারিনা।