স্টাফ রিপোর্টার : সাতক্ষীরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরধরে বসতবাড়ি ও ৩ টি দোকানে হামলা ভাংচুর লুটপাটের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার ১৩ ফেব্রুয়ারী সকালে সাতক্ষীরা সদররের ঝাউডাঙ্গার দক্ষিণ পাথরঘাটা গ্রামে এই হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
হামলা ভাংচুর ও লুটপাটের শিকার পাথরঘাটা গ্রামের বদরুজ্জামান এর ছেলে মুনাওায়ার হোসেন বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে এই হামলা চালিয়েছে। প্রতিপক্ষের প্রাক্তন ইউপি সদস্য আব্দুল গনি ও মোঃ আমিরুল ইসলাম, মুস্তাফিজুর, মিজানুর, গোলাম ওয়াদুদ, আব্দুর রাজ্জাক, ওয়াজেদ আলীদের সাথে এই জমি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত বিরোধ ও আদালতে মামলা চলমান রয়েছে। আমাদের ৬ শরিকের এক একর ৬৬ শতক জমি। আমরা ও শরিকরা এই জমি বহুদিন যাবত ভোগদখল করে আসছি ।
এই জমির উপরে আদালতের নিষেধাজ্ঞাও রয়েছে। এখানে ৩ টি দোকান ও আমার ভাই তৌহিদুল এর বসতঘর ছিলো। রবিবার সকালে আমরা বাড়িতে না-থাকায় তারা দেশীয় অস্ত্র লাঠি, দা, শাবল নিয়ে ২০- ৩০ জন সন্ত্রাসী আমাদের বসতবাড়ি ও দোকানে হামলা চালিয়েছে। ভাংচুর ও লুটপাট করে নিয়েগেছে ঘরের ও দোকানের সব মালামাল টাকাপয়সা। প্রকাশ্য দিবালোকে এমন সশস্ত্র হামলা ও লুটপাটের ঘটনায় এলাকার মানুষ ভীত-সন্ত্রস্ত হয়ে পেড়েছে। আতঙ্ক বিরাজ করছে পাথরঘাটা গ্রামে।
বসতবাড়িতে হামলার শিকার মৃত রওশন আলীর ছেলে মোঃ তৌহিদুল ইসলাম অভিযোগ করে বলেন, জমি নিয়ে বিরোধে প্রতিপক্ষের আব্দুল গনি ও আব্দুর রাজ্জাক বাদীহয়ে কয়েক দিন আগে আমাদের নামে আদালতে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা দিয়েছে। রবিবার সকালে সবাই যখন আদালতে হাজিরা দিতে গিয়েছি সেই সুযোগে তারা আমাদের বসতবাড়ী দোকান ঘরে হামলা করেছে। ভাংচুর করেছে, লুট করে নিয়ে গেছে ঘরে থাকা ড্রেসিংটেবিল, টেলিভিশন, ওয়ারড্রব ও নগত টাকা। এব্যাপারে জানালে সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসেছিলো। আমরা থানায় অভিযোগের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এঘটনায় সাতক্ষীরা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোহাম্মদ গোলাম কবিরের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।