ডেস্ক রিপোর্ট : সাতক্ষীরার তালা এলজিইডি (ইঞ্জিনিয়ার) অফিসের হিসাব সহকারী (বর্তমানে দায়িত্ব প্রাপ্ত) হিসাব রক্ষক এর বিরুদ্ধে সীমাহীন দূর্নীতিসহ ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। প্রতি ফাইলে ১হাজার টাকা থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় হিসাব সহকারী মোস্তাফিজুর রহমানকে।
সহকারী হিসাব রক্ষক এর চাকুরী করে রাতারাতি কোটিপতি বনে গেছেন তিনি। করেছেন আলীশান বাড়ী ও গাড়ি। চলেন জমিদার ইষ্টালে। কারো কোন তোয়াক্কা না করে, ঠিকাদারসহ নিয়মিত সকলের সাথে অসৈজন্যমুলক আচরন করেন তিনি। ঘুষ না দিলে কোন ফাইল নড়ে না। বিভিন্ন তালবাহানা দেখিয়ে ঠিকাদারদেরকে জিম্মি করে কোটি টাকা কামিয়েছেন। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ ঠিকাদাররা।
কোন ঠিকাদার তার চাহিদামত টাকা দিতে অপারগতা স্বীকার করলে দিনের পর দিন তার ফাইল আটকে রাখেন বিভিন্ন ভাবে ঘুরাতে থাকেন। ঠিকাদাররা কোন প্রতিবাদ করলে মুস্তাফিজ দম্ভ করে বলেন, আমি তালায় না থাকলে কোন সমস্যা নাই। সাতক্ষীরা জেলায় থাকবো। যেখানে যাবো, সেখানেই চেয়ার পাবো।
আপনারা আমার কোন কিছুই করতে পারবেন না। টাকা দিয়ে সব ম্যানেজ করে নিব। এবং তিনি বিভিন্ন সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত আছেন বলেও অভিযোগ রয়েছে। .সিমানা পিলার, তক্ষক চোরাচালানের সাতক্ষীরার মূল হোতা এই মোস্তাফিজ নাম না বলা শর্তে ঠিকাদাররা অভিযোগ করে বলেন, ফাইল প্রতি মুস্তাফিজ ৫শ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত নিয়ে থাকেন অর্থাৎ একলক্ষ টাকার বিল নিতে হলে ফাইলে ১হাজার টাকা হতে ৩ হাজার টাকা পর্যন্ত দিতে হয় তাকে।
অন্যথায় সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারের সাথে অসৌজন্যমূলক আচরণসহ নানান অজুহাত দেখিয়ে থাকেন। ঠিকাদাররা আরও বলেন, হিসাব সহকারি মুস্তাফিজ যে উপজেলায় কর্মরত থাকেন সেখানেই ঠিকাদারদের জিম্মি করে তার রমরমা ঘুষ বাণিজ্যের অভয়অরণ্য গড়ে তোলেন।
তার চাহিদা মতো টাকা না দিলে চরম ভোগান্তিতে ফেলেন ঠিকাদারদের। তার এমন ব্যবহারে অতিষ্ঠ ঠিকাদাররা। তার দূর্নীতি ও ঘুষ বানিজ্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্তপূর্বক শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য প্রশাসনসহ উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ ও গোয়েন্দা বিভাগের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
অভিযুক্ত হিসাব সহকারি মুস্তাফিজুর রহমান এর সাথে মুঠো ফোনে ০১৭১১৫৭৯৮৩৪ থেকে ০১৭১১-৪২৩২৯৭ নাম্বারে দূর্নীতিসহ ঘুষ বানিজ্যের অভিযোগের বিষযয়ে জিজ্ঞাসাবাদে তিনি কোন কথা না বলে ফোনটি কেটে দেন।