স্টাফ রিপোর্টার : গত কয়েক দিনের টানা বর্ষনে ও অপরিকল্পিত মৎস্য ঘের করা এবং পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সাতক্ষীরা পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বিভিন্ন স্থানে পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হওয়ায় শতশত পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।
এসব জলাবদ্ধতা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেছেন পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী ও ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু।
শুক্রবার সকাল থেকে ৭নং ওয়ার্ডের ইটাগাছা, ইটাগাছা পশ্চিমপাড়া, বিলপাড়া এবং রইচপুরের আংশিক জলাবদ্ধতা কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন তারা।
জলাবদ্ধ এলাকা পরিদর্শন কালে পৌর মেয়র ও কাউন্সিলর স্থানীয় নাগরিকদের সাথে পানি সরানোর বিষয়ে পরামর্শ করেন। এবং দ্রুত জলাবদ্ধতা নিরশনের জন্য এলাকাবাসীদের আশ্বস্থ করেন পৌর মেয়র তাজকিন আহমেদ চিশতী।
৭নং ওয়ার্ডের ইটাগাছা, ইটাগাছা পশ্চিমপাড়া, বিলপাড়া এবং রইচপুরের আংশিক জলাবদ্ধতা কবলিত এলাকা পরিদর্শন শেষে কাউন্সিলর শেখ জাহাঙ্গীর হোসেন কালু জানান, অপরিকল্পিত ভাবে মৎস্য ঘের করা এবং সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের উদাসিনতার কারনে এসব জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হচ্ছে। জলাবদ্ধা নিরসনের লক্ষে রবিবার থেকে অবৈধ নেট-পাটা অপসরন ও কচুড়িপনা সরানোর কাজে মাঠে নামবে পৌরসভা কর্তপক্ষ।
তিনি অভিযোগ করেন, শাখরা ১৫ ব্যান্ডের স্লুইচ গেট বন্ধ রয়েছে। দীর্ঘদিন যাবত স্লুইচ গেটের পাটা সরানোর কাজে সাতক্ষীরা পানি উন্নয়ন বোর্ডের নিয়োজিত ব্যক্তি না থাকার করনে অত্র এলাকার পানি বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। যদি পাউবো জোয়ারের সময় পাটা বন্ধ রখতো এবং ভাটার সময় পাটা খুলে দিতো তবে বর্ষার পানি সরে যেতো।
এদিকে সাতক্ষীরা নাগরিক কমিটির সদস্য আলীনুর খান বাবুল বলেন, পৌরসভার ভিতরে মৎস্য ঘের করতে হলে মৎস্য অফিস থেকে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছ থেকে অনুমোদন নিতে হয়। কিছু অসাধু ব্যক্তি এসব আইনের তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিত ভাবে ইচ্ছামতো বেড়িবাঁধ দিয়ে ঘের করছে।
তিনি আরো বলেন একটি ঘেরের বেড়িবাঁধ থেকে অন্য ঘেরের বেড়িবাঁধ করতে অনন্ত ৮ফুট দূরুত্ব রাখতে হয়। ক্ন্তিু নিয়ম না মেনে ঘের করার করনে ৭নং ওয়ার্ডে স্থায়ী জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে।