স্টাফ রিপোর্টার : সামাজিক, অর্থনৈতিক, কৃষি ও শিল্প উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে প্রজন্মের কিশোর কিশোরীদের মধ্যে গবেষনা ও উদ্যোক্তামূলক সৃজনশীলতা গড়ে তুলতে হবে। এসব কিশোর কিশোরীরা তাদের নিজ নিজ এলাকায় সামাজিক, পরিবেশ, কৃষি, শিক্ষা, স্বাস্থ্য এবং জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক নানাবিধ তথ্যউপাত্ত সংগ্রহ করে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রায় কাজে লাগাতে পারে। তাদেরকে প্রশিক্ষনের আওতায় এনে এ ধরনের কাজে নামাতে পারলে বাংলাদেশের টেকসই উন্নয়নে তা হতে পারে এক গুরুত্বপূর্ন পদক্ষেপ।
মঙ্গলবার ১৫ জন কিশোর কিশোরী এই লক্ষ্যকে সামনে রেখে সাতক্ষীরায় এক প্রশিক্ষনে অংশ নিয়ে তাদের পর্যবেক্ষন এবং অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেছে। এসব অভিজ্ঞতা থেকে সমস্যা তুলে এনে তা সমাধানের লক্ষ্যে কাজ করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। সাতক্ষীরার কয়েকটি ইউনিয়ন থেকে আসা শিক্ষার্থী পর্যায়ের এসব প্রশিক্ষন গ্রহনকারীর মধ্যে রয়েছে ৮ কিশোর ও ৭ কিশোরী।
শহরের অদূরে মোজাফফর গার্ডেনে আয়োজিত ৩ দিনের এই প্রশিক্ষন পরিচালনা করছে আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সংস্থা ‘সেভ দ্য চিলড্রেন’। ‘ইয়ুথ লেড ইনোভেশন ল্যাবস’ প্রকল্পের আওতায় এই প্রশিক্ষনে সহযোগিতা দিচ্ছে সাতক্ষীরার ‘ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স’। ৩ দিনের এই প্রশিক্ষন শেষ হবে বৃহস্পতিবার।
সেভ দ্য চিলড্রেন এর উপপরিচালক নিশাত আফরোজ বলেন, চাকরি বা কমংসংস্থানের উৎসের সাথে যুবকদের সংযোগ ঘটানোর পাশাপাশি নতুন উদ্যোক্তা হবার ক্ষেত্রে উৎসাহী করা এবং উদ্ভাবনের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করাই আমাদের লক্ষ্য। এ ব্যাপারে প্রতিযোগিতামূলক ভাবে অংশগ্রহনকারীদের আর্থিক সহায়তা দেয়ার প্রচেষ্টা থাকবে।
তিনি আরও বলেন, সারাদেশ থেকে বাছাইকৃত কিশোর কিশোরীদের নিয়ে ঢাকায় চূড়ান্ত কর্মসূচীর মাধ্যমে তাদেরকে শিল্পায়ন, কৃষি সহ বিভিন্ন বিষয়ের সাথে সমন্বয় করে দেওয়া হবে।
ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর উপপরিচালক ড. মোহাম্মাদ তারেকুজ্জামান বলেন, আমরা ইয়ুথ লেড ইনোভেশনের মাধ্যমে একটি ইতিবাচক মনোভাব তৈরি করতে চাই, যার ফলে তরুণেরা গতানুগতিক ধারার বাইরে এসে চিন্তা করতে পারবে, পাশাপাশি স্বাধীন পেশা ও কাজের সুযোগ সৃষ্টি হবে।
কর্মসূচীতে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্রেকিং দ্য সাইলেন্স এর ডেপুটি ম্যানেজার সাবেরা ইয়াসমিন, সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি এনটিভি প্রতিনিধি সুভাষ চৌধুরী, সিনিয়র অফিসার এস.এম ইউসুফ, ডেপুটি ম্যানেজার মো: শরিফুল ইসলাম ও প্রকল্প সমন্বয়কারী মো: মনিরুজ্জামান টিটু, বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কেন্দ্র এর স্টেশন ইনচার্জ ড. মো: আরিফুর রহমান, রাইস মিল মালিক মো: মিন্টু চৌধুরী, পাখি ও কবুতর পালক উদ্যোক্তা শামসুন্নাহার রোজী প্রমুখ।
ইয়ুথ লেড ইনোভেশনের মৌলিক নীতিমালা ও কর্মকান্ডের মধ্যে রয়েছে যুবকদের ক্ষমতায়ন করা, বহুসাংস্কৃতিক দলের মধ্যে থেকে কাজ করা, আত্মপ্রকাশের সুযোগ করে দেওয়া, সহায়তার মনোভাব তৈরি করা এবং নতুন উদ্ভাবনগুলোকে স্থায়ী এবং টেকসই করে তোলা। এখানে যুবকরা তাদের নিজ নিজ এলাকার সামাজিক ও অর্থনৈতিক সমস্যার কথা তুলে ধরবে এবং সেটির সমাধান নিয়ে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করবে। এই আলোচনার মধ্য দিয়ে একটি নির্দিষ্ট গঠনমূলক সমাধান বের করার চেষ্টা করবে।